ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ার পুনর্গঠন সহায়তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যাচ্ছে। আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়া পুনর্গঠনের জন্য যেসব শর্তে শিথিল করা হচ্ছে, তাতে মূলত পরিবহন, শক্তি এবং আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
সিদ্ধান্তটি আগামী সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। এটাকে একটি দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগে এ বিষয়ে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছেছিল, যা এখন কার্যকর হতে যাচ্ছে।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কেজা কাল্লাস জানান, নিষেধাজ্ঞাগুলো ধাপে ধাপে শিথিল করা হবে। সিরিয়ার নতুন সরকার তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হলে শিথিলকৃত নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হতে পারে। দ্য নিউ আরব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অভিবাসন ও পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ইইউর অনুদান, চুক্তি সই
নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন এবং টেকসই পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি চুক্তি সই করেছে। ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়।
‘অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পুনর্বাসনের জন্য সেবা প্রদান ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ অনুদান দেবে। গত মঙ্গলবার ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে আইওএমের মিশন প্রধান ল্যান্স বনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ইআরডি জানায়, প্রকল্পটি দুটি প্রধান লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করবে। প্রথমত, অভিবাসন সেবা প্রদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং দ্বিতীয়ত, ঝুঁকিপূর্ণ প্রবাসফেরতদের সহায়তা দেওয়া। এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন ও পুনর্বাসন কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে। এ ছাড়া অভিবাসন ও পুনর্বাসন বিষয়ে সরকারের অগ্রাধিকার কার্যক্রম বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় উন্নয়ন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে।