আদালতে ২ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, একজন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
Published: 22nd, February 2025 GMT
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আরেক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার বিকেল পৌনে চারটা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম দুই আসামির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। একই আদালত অন্য আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি হলেন মো.
গতকাল শুক্রবার সাভারের ডেন্ডা এলাকা থেকে এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আজ বিকেলে তাঁদের আদালতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আহসানুজ্জামান।
আরও পড়ুনঢাকা-রাজশাহী রুটে চলন্ত বাসে ডাকাতির যে বর্ণনা দিলেন যাত্রীরা২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫পুলিশ কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত আসামি সবুজ ও শরীফুজ্জামানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে আসামি শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি সবুজ ও শরীফুজ্জামান জবানবন্দিতে গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে বাসে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, নারী যাত্রীদের কাছ থেকে গয়না ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তাঁদের গায়ে হাত দিয়েছেন। তবে কোনো ধর্ষণ করেননি।
আরও পড়ুনচলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিন দিন পর মামলা২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এর আগে গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ইউনিক রোড রয়েলসের (আমরি ট্রাভেলস) একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেন ডাকাতেরা। তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে যাত্রীদের টাকাপয়সা, মালামাল লুণ্ঠন করেন। এ সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওমর আলী নামের এক যাত্রী মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুনচলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: টাঙ্গাইলে চারজনকে গ্রেপ্তার১০ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনচলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন স্বীকারোক্তি দেবেন: পুলিশ৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুন‘অভিযুক্ত’ চালক-সুপারভাইজারকে আসামি না করায় প্রশ্ন বাদীর২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচ টেপ প্যাঁচানো লাশটি ব্যবসায়ী বাসারের
রাজশাহী নগরের পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচ টেপ প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া লাশটি একজন ব্যবসায়ীর। তার নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। নগরের মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লায় তার বাড়ি। বিনোদপুর বাজারে তার একটি দোকান আছে।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাশের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা তাকে শনাক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আবুল বাসার নিখোঁজ ছিলেন।’’
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে নগরের লালন শাহ মুক্ত মঞ্চসংলগ্ন এলাকায় কাশবনে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখের ওই এলাকায় ঘুরতে যাওয়া লোকজন। পরে পুলিশকে জানানো হয়। নিহত আবুল বাসারের মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচ টেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল।
ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আলামত দেখে মনে হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব