দৃঢ় বন্ধনে ৯৮ শিক্ষার্থীদের ২৭ বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত
Published: 22nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এস.এস.সি ব্যাচ '৯৮ বন্ধুত্বের ২৭ বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাষারার লা-ভিস্তা রুফটপ রেস্টুরেন্ট কেক কেটে এই উৎসব উৎযাপন করে সকল বন্ধুরা। অনুষ্ঠানের ভাষা শহীদ ও মৃত বন্ধুদের স্মরণে নীরবতা পালনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আড্ডা, ছবি তোলা, পুরনো স্মৃতিচারন, খুশগল্পে মেতে উঠে তারা। এ যেন ১৯৯৮ সালে ফিরে যাওয়ার মত ঘটনা।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর তাদের আয়োজনে আবেগে আপ্লত হয়ে পরে অনেকে। আয়োজনের উদ্যোক্তা বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কেউ কেউ। আড্ডার ফাকে চলে খাওয়াদাওয়া। এভাবেই চলতে থাকে রাত-১০টা পর্যন্ত।
এক প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু মোঃ এ এইচ আশু বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর পর আজই প্রথমবারের মত একত্রিত হয় ফতুল্লা পাইলট স্কুলের এস.
আরেক প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু মোঃ শরিফুল ইসলাম তুষার বলেন, অনেক উৎসাহ নিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে বন্ধুরা। জ্যাম ঠেলে অনেকের বাসায় পৌঁছতে রাত-১ টা বেজে গেলেও তাদের মধ্যে কোন কষ্ট অনুভব হয়নি।
প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু শহিদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, অনেক ভালো একটা অনুষ্ঠান করতে পেরে আমরা ভীষণ আনন্দিত।
আরেক প্রতিক্রিয়ায় ৯৮ এর বন্ধু রাজিয়া আক্তার লাবন্য বলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বেশি আনন্দের একটা দিন। আজ আমরা ২৭ বছর পর অনেককেই দেখলাম। দীর্ঘ এত বছর পর পুরনো বন্ধুদের নতুন করে পাওয়ার স্মৃতি অনেক বেশি আনন্দ যুগিয়েছে আমাদের।
বিদেশে অবস্থান করা ৯৮ এর বন্ধু খালিদ হোসেন সুমন হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, অনুষ্ঠানে না থাকতে পেরে নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। মন চাচ্ছিল সকল বাঁধা অতিক্রম করে সবার সাথে আনন্দে মিলিত হই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়েশা আক্তার শাপলা, রোকেয়া ইসলাম বন্যা, মমতাজ বেগম, ফাতেমা সুলতানা মনি, ফারহানা রহমান পপি, নাজমা আক্তার, ফাতেমা তুজ জোহরা লেসমী, কামরুন নাহার কলি, নাজমা রহমান মলি, কামরুন নাহার নাসরিন, শারমিন সুলতানা শম্পা, আমেনা বেগম, ওমর ফারুক, সালাহ উদ্দিন সোহেল, নুরুজ্জামান খান রাসেল, মোহাম্মদ মোহসীন, আমিনুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, নুরুল আমিন, এছহাক আলী, মাহামুদুল ইসলাম শাকিল, মিজানুর রহমান, মাহাবুবুর রহমান, রিমেন বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন, তসনিম আহমেদ রাসেল, শরিফ হোসেন টুটুল, ডাঃ কামরুল হাসান সরকার, মজিবুল হায়দার সুজন, জাকির হোসেন, ডাঃ সাইফুদ্দিন মিলন, রমজান আলী, রুহুল আমিন, শফিকুল ইসলাম, শফিউর রহমান সেলিম, শাহিন আহমেদ দিপু, মইনুল ইসলাম সুমন, ইয়াছিন শেখ, মোঃ আল আমিন আলী, মনিরুল ইসলাম মান্নান, পংকজ দাস, নাসির উদ্দিন জুম্মন, শাহাদাৎ হোসেন, মাহাবুবুর রহমান পাপ্পু, আল ইমরান উপল, সিরাজুল ইসলাম অয়ন, শৈলেন দাস, ইমতিয়াজ জনি, ইব্রাহিম খলিল, কাওছার বিন মাহমুদ, মোঃ খায়রুল আলম, আল আমিন, জানে আলম, মোঃ সুমন, সেলিম মিয়া, মঞ্জুর ইসলাম সুজন, মোঃ মুন্না প্রমুখ।
বিদেশ থেকে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন, মোহাম্মদ রায়হান সোহেল, খোরশেদ ফারুক পিয়াল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এ্যডমিন প্যানেলের পক্ষ থেকে সকলের হাতে শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেন গ্রুপ এ্যডমিনবৃন্দ। সকল এ্যডমিনবৃন্দের পক্ষে শুভেচ্ছা স্বারক খরচ বহন করে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বন্ধু শফিকুল ইসলাম সুমন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন র রহম ন ল ইসল ম বছর পর ল আম ন আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদ আলীর দু:খ প্রকাশ
গত সোমবার জেলা পরিষদ আয়োজিত জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ উপলক্ষে সম্মানী ও ঈদ সামগ্রী দেয়ার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মানী দেয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মো. আলী বক্তব্য শেষে জয়বাংলা বলে ফেলেন।
মো. আলীর মুখে জয়বাংলা শোনার পর মিডিয়া ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচীব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে সভা সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে বিএনপির অনেকেই বক্তব্য রাখে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে টিপু বলেন, আজ যে শিল্পকলা একাডেমীতে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান হবে ঐ অনুষ্ঠানে মো. আলী আসলে তাকে প্রতিরোধ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী অনুষ্ঠানে জয় বাংলা বলা ও সংবাদ প্রকাশ এবং টিপুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মো. আলী বলেন, আমি রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। কিশোর বয়সে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জকে পাক হানাদারদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রথমে পঞ্চবটীতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম।
সেদিনই আমার মৃত্যু হতে পারতো। রনাঙ্গনে যতগুলি অপারেশনে জয়ী হয়েছি, জয়ী হওয়ার পর পরই জয়বাংলা স্লোগানে ঐ এলাকা মুখরিত করে তুলেছিলাম। সাবেক সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করতে হবে, যেহেতু আমি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধাদের ও কমপ্লেক্স করার স্বার্থে সাবেক সরকারের দায়ীত্ববান লোকদের সাথে আমাকে চলতে হয়েছে।
তবে কেউ বলতে পারবে না, সাবেক সরকারের শাসনামলে কারো সাথে রাস্তায় নেমেছে কিংবা আমার জন্য জাতীয়তাবাদী দলের কোন ক্ষতি হয়েছে। সাবেক সরকারের দোসররা তাদের দলে নেওয়ার জন্য আমাকে অফার দিয়েছিল। যদি তাদের কথায় রাজী হতাম তাহলে আমার মিল ফ্যাক্টরী সবই থাকতো। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আমার হাতছাড়া হতো না।
বিএনপির রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক ৯০ সালের পর থেকে আমি কি তাদের সাথে ছিলাম না? দলের যেকোন কল্যানে বা দুঃসময়ে আমি কি তাদের পাশে ছিলাম না? আমার বয়স হয়েছে, দুইবার স্ট্রোক করেছি, সবকিছু মনে রেখে কথা বলতে পারি না।
এখন আমার পড়ন্ত বেলা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনের অজান্তে যেই কথাটা বলেছি, তা আমার অন্তরের কথা ছিলনা। তারপরেও মনে করি কথাটা বলা আমার ঠিক হয়নি। আমার ঐ দিনের কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তারজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ঐ দিনের কথার জন্য আমি নিজেই মর্মাহত।
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সকল জাতীয়তাবাদী শক্তি ও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি।মো. আলী আরো বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ একের পর এক হরতাল ও আন্দোলন করে যখন দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল তখন জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষ করে জাতীয়তাবাদী দলের ডাকে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম।
সেদিন জাতীয়তাবাদী দল আপনারাই ছিলেন আমার শক্তি ও সাহস। আগামী দিনেও আমি আপনাদের সাথে থাকার অঙ্গীকার করছি এবং আপনারাও আমার পাশে থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করছি।