মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের ১ জনের মৃত্যু
Published: 22nd, February 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি ইউনিয়নে বজ্রপাতে জাহিদ হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের জমজ ভাই জাকির হোসেন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে তিল্লী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে তিল্লি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন ও তার ভাই জাকির হোসেন তাদের পৈত্রিক জমিতে সরিষা তুলতে যান। এসময় হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই জাহিদ মৃত্যুবরণ করেন। পাশেই থাকা তার ভাই জাকিরের বাম পায়ে বজ্রপাতের আঘাত লাগে। পরে স্থানীয়রা দ্রুত জাকিরকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/চন্দন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।