বিতর্ক মানুষের ভাবনাকে আরও গভীরে নিয়ে যায়। বাংলাদেশের বিতর্কচর্চা নিয়ে লেখা বই এ দেশের বিতর্কের ইতিহাসের দলিল। ‘অন্তহীন বিতর্কযাত্রা: একটি আত্মজীবনীর খসড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উঠে এল এ কথাগুলো।

লন্ডনপ্রবাসী সম্প্রচার সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক বুলবুল হাসান নিজের বিতর্কের অভিজ্ঞতা নিয়ে বইটি লিখেছেন। আজ শনিবার সকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই বই শুধু আত্মজীবনীমূলক নয়, এটি এক অর্থে বুদ্ধিবৃত্তিক অভিযাত্রার দলিল, যা নতুন প্রজন্মের বিতার্কিকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।’

অর্থনীতিবিদ ও লেখক সেলিম জাহান, যিনি ১৯৭০-এর দশকে টেলিভিশন বিতর্কের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন, বইটির ওপর তাঁর মূল্যায়ন দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিতর্ক শুধুমাত্র যুক্তির লড়াই নয়, এটি মানুষের চিন্তার গভীরতা ও মানবিক বোধকে প্রসারিত করার মাধ্যম। এই বই সেই দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে ধরেছে।’

বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার বলেন, ‘এই বই আমাদের বিতর্ক আন্দোলনের ইতিহাসকেও ধারণ করে। এটি বিতার্কিকদের জন্য একধরনের পথনির্দেশিকা হয়ে উঠবে।’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও সাবেক বিতার্কিক মাহফুজ মিশু। বইটির প্রকাশক সুবর্ণ প্রকাশনীর প্রধান শাহরিন হক বলেন, ‘বিতর্কের অভিজ্ঞতা নিয়ে বায়োফিকশনের এই ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা পাঠকদের নতুন এক অভিজ্ঞতা দেবে।’

লেখক বুলবুল হাসান এই বইয়ে বিতর্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যে রূপ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি। তিনি বলেন, এই বায়োফিকশন আগামীর কিশোর বা তরুণদের বিতর্কের মৌলিক লক্ষ্য এবং দর্শনকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে গোবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে একজনকে গণধোলাই দিয়েছেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ। তাকে আহতাবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে এ গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলিফ বর্তমানে প্রেসক্লাবের কোনো পদে নেই এবং তিনি কোনো জাতীয় পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত নন। তারপরও তিনি প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রেখেছেন। পেজের মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুৎসামূলক পোস্ট দিয়ে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুরে শেখ রাসেল হলে অবস্থানকালে উত্তেজিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করে। ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজিবকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার বলেন, “কে এম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ থানাতে আছে। আমি যতটুকু জানি, তার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।” তবে আলোচনার বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানিয়েছেন।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ