নিজের সন্তান না সন্দেহে ১৬ মাসের শিশুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ ইমামের বিরুদ্ধে
Published: 22nd, February 2025 GMT
মুরাদনগরে বাবার বিরুদ্ধে ১৬ মাসের শিশু সন্তান নিজের নয় সন্দেহে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ক্বারি আবু নাঈম ওরফে নাঈম হুজুর মুরাদনগর উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। ঢাকার একটি মসজিদে ইমামতি করেন তিনি। তার তৃতীয় সন্তান নিহত শিশু আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান।
শিশু আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসানের মা জানান, শিশু রাফসানের জন্মের পর থেকেই তার বাবা তাকে নিজের সন্তান হিসেবে মেনে নিতে পারছিল না। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের সাংসারিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। শনিবার সকাল ৯টার দিকে শিশু রাফসানকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা শহরে নিয়ে যেতে চায় তার বাবা নাঈম। তখন শিশুটির মা তাদের সঙ্গে যেতে চাইলে বাধা দেন তার স্বামী। বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেনি শিশুটির মা। তাই নিজে যেতে না পারায় স্বামীর সঙ্গে তার বড় ছেলে ১২ বছর বয়সী আনাসকে পাঠায়। অল্প সময়ের মধ্যেই তার বড় ছেলে একা বাড়ি চলে আসে। বাড়ি ফিরে বড় ছেলে আনাস জানায়, তার বাবা তাকে মুরাদনগর সদরের বাজারে রেখে ছোট ভাইকে নিয়ে একা চলে গেছে কুমিল্লায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে মৃত অবস্থায় রাফসানকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তার বাবা।
তিনি জানান, কুমিল্লা শহরে যাওয়ার পথে কংশনগর এলাকায় গাড়ির ভেতরেই অসুস্থতার কারণে শিশু রাফসান মৃত্যুবরণ করেছে। শিশুটির মায়ের দাবি দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী হুমকি দিয়ে আসছিলেন সন্তানটিকে মেরে ফেলার। অসুস্থতার কারণে নয়, তার স্বামী শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, শিশু রাফসানের জন্মের পর থেকে স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে তার স্বামী বহুবার সালিশ বৈঠক ডেকেছেন। প্রতিটি সালিশেই শিশু সন্তান রাফসানকে মেরে ফেলার হুমকি দিত তার বাবা নাঈম। সালিশে স্ত্রীর পরকীয়ার কোনো প্রমাণ দিতে না পারায় স্থানীয় মাতব্বরদের পরামর্শে তারা একসঙ্গে সংসার করছিলেন। হয়তো তার স্ত্রীর সেই পরকীয়া সন্দেহের জেরেই শিশু রাফসানকে হত্যা করা হয়েছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নাঈম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার বিরুদ্ধে সন্তানকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগরে শিশু সন্তানকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। শনিবার (২২ ফ্রেরুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত বাবার নাম ক্বারি আবু নাঈম ওরফে নাঈম হুজুর (৪৫)। তিনি উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
মারা যাওয়া আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান (১৬ মাস) আবু নাঈমের তৃতীয় সন্তান।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: কে এই ‘চরমপন্থি’ নেতা হানিফ?
জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
নিহত রাফসান মা শাহিদা আক্তার জানান, জন্মের পর থেকেই রাফসানকে নিজের সন্তান হিসেবে মেনে নিতে পারছিল না আবু নাঈম। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের সাংসারিক জীবনে ঝামেলা চলছিল। আজ সকাল ৯টার দিকে রাফসানকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা জেলা শহরে নিয়ে যেতে চান আবু নাঈম। রাফসানের মাও তাদের সঙ্গে যেতে চান। এতে বাধা দেন তার স্বামী। বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি শাহিদা আক্তার। তাই নিজে যেতে না পারায় স্বামীর সঙ্গে তার বড় ছেলে ১২ বছর বয়সী আনাসকে পাঠান সফর সঙ্গী হিসেবে। অল্প সময়ের মধ্যেই তার বড় ছেলে একা বাড়ি চলে আসে। বাড়ি ফিরে আনাস জানায়, তার বাবা তাকে মুরাদনগর সদরের বাজারে রেখে রাফসানকে নিয়ে একা চলে গেছেন কুমিল্লায়।
তিনি আরো জানান, দুপুর ১২টার দিকে মৃত অবস্থায় রাফসানকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন আবু নাঈম। তিনি (আবু নাঈম) জানান, কুমিল্লা শহরে যাওয়ার পথে কংশনগর এলাকায় গাড়ির ভিতরেই অসুস্থতার কারণে রাফসানের মৃত্যু হয়েছে।
শাহিদা আক্তারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী হুমকি দিয়ে আসছিলেন সন্তানটিকে মেরে ফেলার। অসুস্থতা জনিত কারণে নয়, তার স্বামী শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নাঈম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। শিশু রাফসানের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তর জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ