পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের কোনো উত্তাপ টের পাচ্ছে না ভারত!
Published: 22nd, February 2025 GMT
যে ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। সমর্থকদের মধ্যে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা, তর্ক-বিতর্ক। চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে আলোচনা-সমালোচনা। পারফরম্যান্সের চুলচেঁড়া বিশ্লেষণ…সেই ম্যাচ নিয়ে কোনো উত্তাপ টের পাচ্ছে না ভারত!
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে আগামীকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এশিয়ার দুই জায়ান্ট ভারত ও পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে ভারত। অন্যদিকে নিজেদের আয়োজনে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে হেরে যায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামীকালের ম্যাচ পাকিস্তানের জন্য ডু অর ডাই। ভারতের জন্য সমান গুরুত্বের। সেমিফাইনাল নিশ্চিতে তারা এগিয়ে যেতে চাইবে। কিন্তু ম্যাচের কোনো উত্তাপ তারা টের পাচ্ছে না। বলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া ওপেনার শুভমান গিল।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে গিল বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে, এটা (ভারত-পাকিস্তান) আমাদের মানসিকতায় কোনো পরিবর্তন করে না। আমরা প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য খেলি। এজন্য আমাদের ভাবনার কোনো পরিবর্তন আসে না। আমরা যেভাবে প্রতিটি ম্যাচে প্রস্তুতি নিই সেভাবেই এবারও নিচ্ছি। আলাদা কিছুই করা হচ্ছে না।’’
আরো পড়ুন:
ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পাকিস্তানের প্রেরণা ২০১৭
৫০ মিনিটেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট
পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হয় কিংবা হচ্ছে তা এখন ‘ওভার-হাইপ’ কিনা সেই প্রসঙ্গও উঠল শুভমানের কোর্টে। ডানহাতি ওপেনার বিতর্কে না জড়িয়ে কৌশলী উত্তর বেছে নিলেন, ‘‘দেখুন ‘ওভার-হাইপ’ কিংবা ‘আন্ডার-হাইপ’ এগুলো আমি বিশ্বাস করি না। ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের ইতিহাস অনেক লম্বা। দুই দল মাঠে নামলে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রত্যেকে ম্যাচটা দেখে। তারা খুশি হয়। এজন্য বলছি, আমরা কে বলার যে ওভার-হাইপ নাকি আন্ডার-হাইপ। আমরা সেখানে কেবল খেলতে যাই। নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে ম্যাচটা খেলার চেষ্টা করি, নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। হৃদয় দিয়ে ম্যাচটা জিততে চাই।’’
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় শুভমান রান পাননি। আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের ম্যাচে তার ইনিংস থেমে গিয়েছিল ১৬ রানে। এবার কি একটা সেঞ্চুরি আসবে তার ব্যাট থেকে? শুভমান বললেন, ‘‘দেখুন আমি প্রতি ম্যাচে একশ করবো এমন ইচ্ছা থাকে। আমাকে আগামীকাল নতুন করেই শুরু করতে হবে এবং লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। যদি কোনো ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে যায় তাকে অবশ্যই লম্বা ইনিংস খেলতে হবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের ভিন্ন ভাষ্য
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার একটি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থীর (১৩) মৃত্যু হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়ি যেতে না পারায় মেয়েটি লাফ দেয়। তবে স্বজনেরা দাবি করেছেন, এখানে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকতে পারে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি রাতেই জানাজানি হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাদ্রাসার পাঁচতলার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে।
মাদ্রাসার মুহতামিমের ভাষ্য, ঈদের ছুটির পর সপ্তাহখানেক আগে ওই শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়। তবে মাদ্রাসার আবাসিকে থাকতে সে অনাগ্রহী ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সে তার মাকে ফোন করে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে রাতে মাদ্রাসার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁরা কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওই শিক্ষার্থীর মামা বলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করতে, তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাঁরা থানায় অভিযোগ করবেন। পুরো ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবি জানান।
মেয়েটির এক স্বজন দাবি করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। জানালার একটি বড় ফাঁক দিয়ে মেয়েটি নিচে পড়ে যায়। যদি গ্রিল সঠিকভাবে থাকত, এমনটা না–ও হতে পারত।
মাদ্রাসার মুহতামিম বলেন, ‘দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাস্তায় মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে ফোন করেন। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জানালার ওই অংশে ফাঁক ছিল, তবে সেটি আগে তেমনভাবে আমাদের নজরে আসেনি।’
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানালার একটি অংশে রডের ফাঁক আছে, সেটি বেশ বড়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান দিয়েই মেয়েটি পড়েছে। তবে তদন্ত চলছে। মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে। যৌন নিপীড়নের কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে। এখন পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।