কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে অসুস্থ হয়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলরকে গুলি করে হত্যা

সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ যাচ্ছে রোববার, অনুমোদন পেল ৩ জাহাজ

নিহত পর্যটকের নাম ফেরদৌস খান (৪০)। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কমলাপুরের ৭০/২ নম্বর বাসার বাসিন্দা।

এডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, বিকেলে ফেরদৌস খান তার চার বন্ধুর সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গোসলে নামেন। গোসলের একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ অনুভব করেন এবং বন্ধুদের জানান। পরে বন্ধুরা তাকে সৈকতে নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

পরে বন্ধুরা তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এ কর্মকর্তা আরে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।নিহতের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স কত

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে বাবা-ছেলেকে হত্যার পর মাজার ও বাড়ি ভাঙচুর, নেপথ্যে কী

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় চুরির অপবাদে ডাকা সালিসে না যাওয়ায় বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুরো এলাকা এখনো থমথমে। পুরো ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। বাবা-ছেলেকে হত্যার পর মানুষকে উসকে পাশের ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাইয়ের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি এবং একটি মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় এখনো আতঙ্ক আছে।

গত রোববার দুপুরে ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামে আবদুল গফুর ও তাঁর ১৫ বছর বয়সী কিশোর ছেলে মেহেদী হাসানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে গফুরের চাচাতো ভাই নাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জড়িত বলে নিহত দুজনের পরিবারের অভিযোগ। বাবা-ছেলেকে হত্যার ঘটনায় শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। শিল্পী আক্তার নিহত গফুরের দ্বিতীয় স্ত্রী।

গত রোববার রাতেই থানায় মামলা হয়। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউ গ্রেপ্তার হননি।

হামলায় হাবিবুর রহমান ছাড়াও চুরির অপবাদে ডাকা সালিসে নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল হক ওরফে সাম্পে মেম্বার ও রাঙ্গামাটিয়া ইউপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরু মেম্বারও আসামি হয়েছেন। তাঁরা সালিসে উপস্থিত থেকে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে তাঁরা সবাই এলাকাছাড়া।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়ার আবদুস সালামের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ