বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক সদস্যকে ফালা মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত হারেজ আলী (৪০) চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিনধরা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে। এ  ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

জানা গেছে, ৮-৯ মাস আগে হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি করা হয়। আহ্বায়ক হন শফিকুল ইসলাম মুক্তা নামে এক ব্যক্তি। তবে এ কমিটি মেনে নেয়নি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির  সাবেক সভাপতি ছামেদুল ইসলাম ও মো.

আলী। তারা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আদালত আপিল মঞ্জুর করেন এবং কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। শফিকুল ইসলাম মুক্তা ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন। এ নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।

শনিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল ও এডহক কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মুক্তা বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভা আহ্বান করেন। এ সময় সভায় উপস্থিত হন অভিভাবক সদস্য হারেজ আলী। বেআইনি সভা বলে প্রতিবাদ করেন তিনি। এ সময় বাগবিতণ্ডা শুরু হলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়া দু’পক্ষই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

অভিযোগ রয়েছে– সংঘর্ষ চলাকালে হঠাৎ প্রধান শিক্ষক ও কমিটি সভাপতির নেতৃত্বে একদল লোক হারেজ আলীর ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই ব্যক্তি ধারালো ফালা দিয়ে হারেজ আলীর পেটে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেখানে নেওয়ার পথেই মারা যান হারেজ আলী।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, হারেজের মৃত্যুর খবর চাউর হলে লোকজন লাঠি, ফালা নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাত পর্যন্ত যৌথ বাহিনী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছামেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর ভাষ্য– পরিকল্পিতভাবে মুক্তা ও রফিকুল মিলে হারেজকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

এদিকে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল ও এডহক কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মুক্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হত্যার ঘটনায় ৫জনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ বন দ ব ল ইসল ম ও কম ট র স হ র জ আল

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপতির পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা জানান। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ