ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের কাছে আটক হয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানার পুলিশ। 

ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, আটকের পর সেই ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। 

পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে আসামি গেল কোথায়? এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুর রহমান বরেছেন, “ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।” 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ঘটনাটাটি সার্বিকভাবে খতিয়ে দেখে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ঢাকা/হিমেল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠল ৩৯.৮ ডিগ্রিতে

চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শুক্রবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি কম থাকায় জনমনে জনমনে স্বস্তি ছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল।

আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার একই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে আজ তাপমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ও বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আকাশে মেঘ না থাকায় সূর্যের তাপ সরাসরি ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে, তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা না থাকায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রোজাদার ব্যক্তিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাইরে বের হননি। ঈদ উপলক্ষ্যে শপিং কমপ্লেক্সগুলোও দিনের বেলায় ছিল ফাঁকা। সড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, ভ্যানের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।

আলমডাঙ্গা পৌরশহরের ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালক আব্দুর রহিম সমকালকে বলেন, সংসারের চাপের কারণে ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান নিয়ে বের হতে হয়েছে তাকে। রোজা রেখে গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। সামনে ঈদ। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে। গরমের কারণে যাত্রীও কম। তাদের পোশাক কিনতে হিমশিম খেতে হবে।  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ উঠল ৩৯.৮ ডিগ্রিতে