বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন যারা
Published: 22nd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিমা কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সংগঠনটির ৫৩ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোট গণনা শেষে নন-লাইফ খাতের বিজয়ী ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন বোর্ড।
নন-লাইফ বীমার নির্বাহী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৪৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈয়্যেদ আহমেদ। পরের অবস্থানে রয়েছেন এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ইমাম শাহীন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪০টি। এ ছাড়াও ৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জনতা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক বেলাল আহমেদ।
অন্য সদস্যদের মধ্যে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৩১ ভোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ(৩১ ভোট), সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার (৩১ ভোট), রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ড.
এ ছাড়াও ২৮ ভোট পাওয়া ৩ জনের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ২ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আব্দুল মতিন সরকার।
অন্যদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লাইফ কোম্পানির প্রতিনিধিরা মনোনিত হয়েছেন। তারা হলেন- ডেল্টা লাইফের পরিচালক আদিবা রহমান, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এবং বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৪ বছর পর উৎসবের আমেজে ভোট অনুষ্ঠিত হলো বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত চলে এই ভোটগ্রহণ। এ বছর সংগঠনটির ৮০ জন সদস্যের মধ্যে ভোটার ছিলেন ৭৬ জন। এর আগে ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
বিআইএ’র নির্বাচনে এবারের নন-লাইফ বীমা খাতের ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৯ জন চেয়ারম্যান-পরিচালক এবং ১০ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় লাইফ বীমা খাতে ১০ নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন বোর্ড।
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইন স য র ন স র ম খ য ন র ব হ ৩১ ভ ট ইসল ম সদস য ব আইএ
এছাড়াও পড়ুন:
পথ দেখাবে সৃজনশীল ক্লাব
বুটেক্স বাঁধন
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ লাখের অধিক ব্যাগ রক্ত দিয়েছে। ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি দেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। বর্তমানে দেশের মোট ৫৪টি জেলায় ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবী এই সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০০৬ সালের ২৪ মে বাঁধনের কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৮ বছরে ধরে নিরলসভাবে মানবতার সেবার জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইমন কুমার সাহা এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন আফিফ ইসলাম সাজিদ। বুটেক্সের সিনিয়র হোক কিংবা জুনিয়র যখনই জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয় তখনই সবারই নির্ভরতার জায়গা বুটেক্স বাঁধন।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটি শুধু রক্ত ব্যবস্থা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং শীতকালে ও ঈদে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থী-বাঁধনকর্মী-উপদেষ্টাদের নিয়ে ইফতার আয়োজন, বার্ষিক ভ্রমণ, নবীন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ব্লাড গ্রুপিং, রক্তদাতাদের সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে এই সংগঠনটি। বছরজুড়ে বাঁধনের নানা আয়োজন থাকলেও তাদের প্রধান আয়োজন হলো বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দাতা সংবর্ধনা ও নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। ২৯তম ব্যাচের মো. শামীম রেজা (আহ্বায়ক) এবং কে. এম. আবদুন নূর (সদস্য সচিব) এর হাত ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদানের এই মহৎ কার্যক্রমটি বুটেক্সে চালু হয়। বর্তমানে বাঁধনের বুটেক্স ইউনিটের ১৯তম কমিটিতে মোট ১৭ জন সাংগঠনিক সদস্য রয়েছেন।
সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব
‘স্টেপস টুওয়ার্ড ইয়োর ড্রিম’ স্লোগানে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়ে ওঠে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ারবিষয়ক সংগঠন ‘সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’। পড়ালেখা শেষ করে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন নাকি বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, করপোরেট চাকরি, উদ্যোক্তা হবেন– এসব নিয়ে থাকেন দ্বিধাগ্রস্ত। আর এমন সিদ্ধান্তহীনতায় নষ্ট হয়ে যায় অনেকটা সময়। এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। শুরু থেকে ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি সদস্য ক্লাবটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবটি প্রতিবছর ক্যাম্পাসে ‘জব ফেস্ট’ বা ‘চাকরি মেলার’ আয়োজন করে। সংগঠনটি নবীন শিক্ষার্থীদের তিনটি ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং একটি বিষয়ের ওপর প্রেজেন্টেশন নিয়ে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ করে থাকে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘মাস্টারমাইন্ড’ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে তারা। প্রতি সপ্তাহে কুইজ প্রতিযোগিতা, গবেষণা-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারণার জন্য ‘রিসার্চ টক’, শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে ‘নলেজ টক’ নামে সেমিনার আয়োজন করে।v