ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
Published: 22nd, February 2025 GMT
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে এ প্রতিবাদী মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা,এই বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, ধর্ষকদের বিচার চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নারী-পুরুষ সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা নারী-পুরুষ সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু ধর্ষকদের কোন বিচার নিশ্চিত করা হচ্ছে না। অথচ দেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত হওয়ার কথা।
তারা আরো বলেন, আমরা চাই অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে যদি অপরাধীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আমরা আবার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোর চৌগাছা মহাসড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি মাসুদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দালাল ভিসির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন’, ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদ তুই গদি ছাড়’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত’, ‘স্বৈরাচারের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘এই মুহূর্তে খবর এলো কুয়েট ভিসি পালিয়ে গেল’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক একশন’, ‘দিল্লি না খুলনা? খুলনা খুলনা’, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পরে আমরা কুয়েটের উপাচার্য মাসুদের মতো একজন স্বৈরাচার চাই না। কুয়েট প্রশাসন আন্দোলনকারী ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছে। যারা এক সময় জুলাই আন্দোলনের সৈনিক ছিল, আজ তারাই অধিকার আদায়ে অনশন করতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, তারা না খেয়ে দিন পার করছে। কিন্তু তাদের পক্ষে উপাচার্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তারা বলেন, এ রকম উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। যদি আপনি আমাদের ভাইদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ না করেন, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। আমরা মার্চ ফর কুয়েট কর্মসূচি গ্রহণ করব।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী