ওয়ালটনের অত্যাধুনিক ট্যাব ১০এইচ প্রো ম্যাক্স বাজারে
Published: 22nd, February 2025 GMT
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবার বাজারে নিয়ে এলো তাদের অত্যাধুনিক ট্যাবলেট পিসি ‘ওয়ালপ্যাড ১০এইচ প্রো ম্যাক্স’।
স্টাইলিশ ডিজাইন ও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের অনন্য সংমিশ্রণে তৈরি ওয়ালটনের নতুন এই ট্যাব গেমিং, মাল্টিটাস্কিং, বিনোদন, অফিসের কাজ কিংবা অনলাইন ক্লাস—সব ধরনের ব্যবহারের জন্য একদম পারফেক্ট। ডার্ক গ্রে এবং হোয়াইট সিলভার রঙের এই ট্যাবটির মূল্য ২৪,৫৫০ টাকা। ট্যাবের সঙ্গে গ্রাহকরা পাচ্ছেন কিবোর্ড এবং ফ্লিপ কভার একদম ফ্রি।
ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, ন্যানো ম্যাটারিয়ালে তৈরি মেটালিক বডির মাত্র ৭.
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট সোমবার শুরু
ওয়ালটন পণ্য কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও কলের জন্য এতে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। দীর্ঘ সময় ব্যবহার নিশ্চিত করতে এতে ৮০০০ এমএএইচ লিথিয়াম-আয়ন পলিমার ব্যাটারির সঙ্গে ১৮ ওয়াটের টাইপ-সি পিডি প্লাস ফাস্ট চার্জিং ফিচার রয়েছে, যা গ্রাহকদের দ্রুত চার্জিং এর পাশাপাশি বার বার চার্জ দেওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে।
নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটির জন্য এতে রয়েছে ব্লুটুথ ৫.২, ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। হাইব্রিড সিম স্লট থাকায় এতে মোবাইল নেটওয়ার্কের সুবিধাও পাওয়া যাবে। মেমোরি ও স্টোরেজের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা দিতে এতে ৮ জিবি এলপিডিডিআরফোরএক্স র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজের সঙ্গে টিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত এক্সপ্যান্ডেবল স্টোরেজ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ট্যাবটিতে ৪টি স্পিকার থাকায় দুর্দান্ত অডিও-ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে।
‘ওয়ালপ্যাড ১০এইচ প্রো ম্যাক্স’ এখন ওয়ালটন প্লাজা থেকে ক্রয়ের পাশাপাশি গ্রাহকরা ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://waltondigitech.com/products/tablet/android-tab/walpad-10h-pro-max) ভিজিট করে অনলাইনে সরাসরি অর্ডার করার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ পেশাজীবীদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ
১. বারটেন্ডার
তালিকায় সবার ওপরে আছেন বারটেন্ডাররা। তাঁরা বারে পানীয় তৈরি ও পরিবেশন করেন। এই পেশাজীবীদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ।
২. এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্টদ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্টরা। পেশাগত কারণে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে মানসিক চাপ, অনিরাপত্তাবোধ, ঈর্ষা, প্রতারণার মতো বিষয়গুলো অতিমাত্রায় বেশি থাকে।
৩. উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাএটি এমন এক পেশা, যেখানে সব সময় মানসিক চাপে থাকতে হয়। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে এই পেশাজীবীদের মানসিক দূরত্ব থাকে। তাঁদের জীবনসঙ্গীরা একাকিত্ব ও সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। ফলে স্বাভাবিক একটা দাম্পত্য জীবনের অভাবে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা।
৪. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীএই পেশাজীবীদের কাছে সব সময় প্রথম প্রাধান্য থাকে রোগী, জীবনসঙ্গী নয়। এই পেশাজীবীরা খুব কমই সঙ্গী বা পরিবারকে সময় দিতে পারেন। তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গীর মানসিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন।
৫. গেমিং সার্ভিসেস ওয়ার্কারযাঁরা ক্যাসিনোতে কাজ করেন বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জীবনযাপনের ধরনের কারণে তাঁদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়।
৬. ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টসঅনেকের কাছে খুবই আকর্ষণীয় চাকরি। এই পেশাজীবীরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পান। বেতনও তুলনামূলকভাবে ভালো। তবে আপনার কাছে যতই আকর্ষণীয় আর গ্ল্যামারাস লাগুক না কেন, পেশাটি কম চাপের নয়। ক্রমাগত ভ্রমণের ফলে তাঁরা শারীরিক আর মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকেন। লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকা ও ‘লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ’ চালিয়ে নেওয়া সহজ কথা নয়।
৭. কাস্টমার কেয়ার, টেলিমার্কেটের ও সুইচবোর্ড অপারেটরএই পেশাজীবীরা সব সময় চেয়ারে বসে থাকেন। পুরোটা সময় ফোনে কথা বলেন। ফোনের অপর পাশের ব্যক্তির ঝাড়ি খান, গালি খান। ঠান্ডা মাথায় মানুষের সমস্যার সমাধানও দিতে হয়। ফলে তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। মানসিক চাপ থাকে ভীষণ। ফলে জীবন থেকে সুখ বিষয়টা দূরে চলে যায়। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। তাঁদের নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
আপনি এর পরেরবার যখন তাঁদের কারও সঙ্গে বিভিন্ন সেবা নিয়ে আপনার বাজে অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা বলবেন, যথাসম্ভব নরম স্বরে কথা বলুন। মনে রাখবেন, আপনার ভোগান্তি বা অসুবিধার জন্য তাঁরা দায়ী নন। তাঁরা কেবল জীবন চালানোর জন্য চাকরি করছেন।
আরও পড়ুনসম্পর্কে কি আধিপত্য থাকতে পারে১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৮. ডান্সার ও কোরিওগ্রাফারবিশেষ করে ব্যালে ডান্সারদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ। পেশাজীবনে সর্বোচ্চ সফলতার দেখা পাওয়ার জন্য তাঁদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাঁদের ফিটনেস বজায় রাখা খুবই জরুরি। শরীরে ব্যথা, ফ্র্যাকচার, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, হাড় ভাঙা—এ রকম নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন তাঁরা। নিজেদের শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতা ও অসন্তুষ্টিতে ভোগার হারও তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পেশাজীবীরাই সবচেয়ে বেশি ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’–এ ভোগেন। তাঁদের একটা বড় অংশ অসুখী। তাই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অপর ব্যক্তি যে সুখী হবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক!
৯. ম্যাসাজ থেরাপিস্টজীবনসঙ্গীরা এই পেশাজীবীদের পেশা নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভোগেন।
১০. টেক্সটাইল নিটিং ও ওয়েভিং মেশিন অপারেটরতাঁরা চাকরিজীবন নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরেন। এটা তাঁদের মানসিক চাপ বাড়ায়। এর প্রভাব পড়ে মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কে।
সূত্র: ডিভোর্স ডটকম
আরও পড়ুনপ্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫