দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্ত ফাঁসি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান। 

সমাবেশের আগে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘চলো যাই যুদ্ধে, ধর্ষকের বিরুদ্ধে’, ‘নারীদের অধিকার, প্রতিষ্ঠা করো করতে হবে’ লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নারী-পুরুষ সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা নারী পুরুষ সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু এখনো আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর ধর্ষকদের কোনো বিচার নিশ্চিত হচ্ছে না। অথচ দেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকদের ফাঁসি নিশ্চিত হওয়ার কথা। তাহলে কেন আমরা পুনরায় জীবন দিলাম? এই বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য?’

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে যদি আমার বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আবার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বড়াইগ্রামে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, রংমিস্ত্রি নিহত

নাটোরের বড়াইগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে আব্দুল্লাহ (১৮) নামে এক রংমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন।

সোমবার বিকেলে উপজেলার বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল্লাহ বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, আবদুল্লাহ সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে লক্ষ্মীকোল বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দুরে ঈদগাহ এলাকায় যেতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ