আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
Published: 22nd, February 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগে স্থানীয় নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করতে হবে, যাতে জনগণ তাদের সেবা পেতে পারে। উপযুক্ত সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শনিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আয়োজিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা চাঁদাবাজি করেন তাদের বলছি, আল্লাহ ভিক্ষাকে হালাল করেছেন, কিন্তু চাঁদাবাজিকে হারাম করেছেন। তাই চাঁদাবাজি না করে ভিক্ষা করা উত্তম। আপনারা যদি আমাদের কাছে সহযোগিতা চান, আমরা আপনাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত, কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে চাঁদাবাজি করবেন না।
জামায়াত আমির বলেন, দেশের ন্যূনতম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার নিশ্চিত করার পরই আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। পিআরআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া উচিত, যাতে কারও ভোট নষ্ট না হয় এবং প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল। সভা পরিচালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মুহাদ্দিস আবু নসর আশরাফী, শহর আমির অ্যাডভোকেট মো.
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার সূচনা করেন সদর উপজেলা আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী। সভায় দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য ত র আম র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকারে রাখার দাবিতে ঢাকায় নানা কর্মসূচি শনিবার
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার দাবিতে শনিবার রাজধানীতে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গণসংযোগ, পথসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ।
পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু হবে আর সন্ধ্যায় উত্তরায় গিয়ে শেষ হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গণসংযোগ চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছয়টি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পথসভাটি হবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে। এর পর প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর-১০ ও উত্তরার রাজলক্ষ্মীতে পথসভা করা হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচির রুটটি হচ্ছে বাহাদুর শাহ পার্ক-প্রেসক্লাব-টিএসসসি-শাহবাগ-ফার্মগেট-শ্যামলী-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-ইসিবি চত্বর-বিমানবন্দর-উত্তরা।
পথসভাগুলোতে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফন্ট, বিসিএলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশিষ্ট নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মীরা সংহতি জানাবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন ও অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী এক যুক্ত বিবৃতিতে শনিবার কর্মসূচি সফল করার জন্য রাজধানীবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা এ কর্মসূচিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছেন।