ধলেশ্বরীর তীরে নারী গার্মেন্টসকর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
Published: 22nd, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ধলেশ্বরী নদীর তীরে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে পুৃলিশ উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর চসুমদ্দিন গ্রাম থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫)। তিনি উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর চসুমদ্দিন গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক পঞ্চবটি এলাকা থেকে সিরাজদীখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি বাজারের স্বামীর মুদি দোকানে যাচ্ছিলেন ওই পোশাককর্মী। পথে মোল্লাকান্দি বালুরচর গ্রামের ডিসি প্রজেক্টের সামনে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায় ধলেশ্বরী তীরের নির্জন স্থানে। সেখানে কয়েক যুবক মিলিত হয়ে বেশ রাত পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে নারীকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সিরাজদীখান থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হাবিবুর রহমান বলেন, ওই নারী গার্মেন্টসকর্মীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রামগতিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
রামগতির ঘটনায় জানা গেছে, ওই গহবধূ সাহ্রির পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের পাশের টয়লেটে যান। আসার পথে দু’পাশ থেকে অপরিচিত দুই ব্যক্তি তাঁকে জাপটে ধরে পাশের নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই নারী। জ্ঞান ফেরার পর চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তাঁর বাড়ি সিলেট জেলায়। বছর দুয়েক আগে চরগাজী ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। এক সন্তানসহ ভালোভাবে সংসার চলছে। বিয়ের দুই মাস পর একদিন পাশের গ্রামে স্বামীর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সেখানে ননদের জামাই জামাল আহমেদ তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পারিবারিকভাবে এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক মাস পর বাড়িতে এসে তাঁকে ধর্ষণ করে চলে যায় প্রভাবশালী জামাল। এ ঘটনার বিচার দাবি করলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সালিশ বৈঠক হতে দেয়নি ধর্ষক।
ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা একাধিক নারী জানান, গৃহবধূর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে আসি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলের রাজগাতী ইউনিয়নে গত শুক্রবার ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বড়াইল গ্রামে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় ফারুক মিয়ার ছেলে আরিয়ান আহমেদ শাওন শিশুটিকে ধর্ষণ করে। গুরুতর অবস্থায় এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন শাওনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।