মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে ধলেশ্বরী নদীর তীরে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানায় মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে পুৃলিশ উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর চসুমদ্দিন গ্রাম থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫)। তিনি উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর চসুমদ্দিন গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক পঞ্চবটি এলাকা থেকে সিরাজদীখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি বাজারের স্বামীর মুদি দোকানে যাচ্ছিলেন ওই পোশাককর্মী। পথে মোল্লাকান্দি বালুরচর গ্রামের ডিসি প্রজেক্টের সামনে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায় ধলেশ্বরী তীরের নির্জন স্থানে। সেখানে কয়েক যুবক মিলিত হয়ে বেশ রাত পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে নারীকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।  

এ ব্যাপারে সিরাজদীখান থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হাবিবুর রহমান বলেন, ওই নারী গার্মেন্টসকর্মীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় এক গৃহবধূকে (২২) ট্রলারে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পদ্মার চরে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির কান্তি এলাকার ইয়ামিন মুন্সী (১৯), মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাওলার চরের জামাল মোল্লা (২৩) ও হাওলাদারকান্দি এলাকার জব্বার শেখ (১৮)। গত সোমবার ওই গৃহবধূ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় লিখিত অভিযোগ করেন; মামলা রেকর্ড হয় মঙ্গলবার। মঙ্গল ও বুধবার ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার ওই নারী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য মাওয়া পুরোনো ফেরিঘাটের ট্রলারঘাটে আসেন। সেখানে তিনি ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময় তাঁর স্বামীর পূর্বপরিচিত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা ঘাট এলাকায় আসেন। তাঁরা ওই নারীকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিজেদের পরিচালিত ট্রলারে উঠতে বলেন। সিদ্দিক পরিচিত হওয়ায় ট্রলারে ওঠেন ওই নারী। ওই সময় অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বার নামের আরও দুজন ট্রলারটিতে ওঠেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রলারটি পদ্মা নদীর ডোমারখালী চরে পৌঁছায়। সেখানে ওই চার গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

সোমবার ওই নারী তাঁর স্বামীকে নিয়ে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রুজু করে। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে। পরে ওই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের আদালতে তোলা হয়। তাঁরা দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এসব তথ্য নিশ্চিত করে পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩