বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতাবিষয়ক আঞ্চলিক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সেমিনারটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দেশ একটি জাতীয় প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ খাতভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাবের ওপর রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা চলছে।’

সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সংস্কার প্রচেষ্টাগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার উপায়গুলো অন্বেষণ এবং নির্ধারণ করতে হবে। জেলার বিচার বিভাগ এবং বিচারকদের নিজ নিজ ভূমিকায় সংস্কারক ও উদ্ভাবক হিসেবে আত্মপ্রকাশ এবং সংস্কার কর্মসূচির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

বিচার বিভাগের বিস্তৃতি এবং খাতভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়েছে জানিয়ে বিচারপতি বলেন, প্রস্তাবগুলোর লক্ষ্য হলো, জনগণকেন্দ্রিক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সাধারণ জনগণের জন্য দক্ষ ও দ্রুত সেবা প্রদান করা। ময়মনসিংহে এই সেমিনারের ভূমিকা হবে সেই প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

ইউএনডিপির উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। আরও বক্তব্য দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব। বাণিজ্যিক আদালতের রোডম্যাপ–বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শরিফুল আলম। পাশাপাশি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির রোমানা শোয়েগার। সেমিনারে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলার বিচারক ও পাবলিক প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব চ রপত

এছাড়াও পড়ুন:

বিড়ালপ্রেমীদের মিলনমেলা

নানা প্রজাতি ও নামের দেশি-বিদেশি বিড়ালের মেলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে ময়মনসিংহ নগরের ব্রহ্মপুত্র নদের পারে জয়নুল আবেদিন বৈশাখী মঞ্চে এ মেলা হয়।
কোনোটির চোখে চশমা, কোনোটির মুখে মেকআপ; আবার কোনোটি কপালে টিপ, শরীরে রঙিন পোশাক পরে নানা ঢঙে হাঁটছিল মঞ্চের লাল গালিচায়। যা দেখতে ভিড় করেন দর্শকরা। এ মেলার আয়োজন করে প্রফেসরস পেট কেয়ার নামে একটি সংগঠন। তারা মেলার নাম দেয় ‘ক্যাট শো’।
প্রফেসরস পেট কেয়ারের পরিচালক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, দেশে বিড়ালের সংখ্যা বাড়ছে। বিড়াল শুধু প্রাণীই নয়, এটি পরিবারেরও সদস্য। এই সদস্যকে নিয়ে এখন মানুষ সময় কাটায়। বিড়ালপ্রেমিকদের এক ছাতার নিচে আনার জন্যই এই আয়োজন। তিনি বলেন, এখানে বিড়ালের ভেকসিনেশন, বিড়ালকে নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট– যেমন ক্যাটওয়াক, বেস্ট ক্যাট সিলেকশন, বিড়ালের ফ্রি হেলথ চেকআপ, বিড়ালের লালন-পালন ও রোগবালাই সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়।
মাহমুদুল আলমের দাবি, বর্তমানে ময়মনসিংহ শহরে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বিড়াল লালন-পালন করে। শুধু লালন-পালন করলেই হবে না, এর যত্ন, রোগবালাই ও ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে।
২০২৩ সালে প্রথমবার একটি সংগঠন ক্যাট শো করেছিল এ স্থানে। দ্বিতীয়বারের এ আয়োজনে কোকো, মিমি, মুলু, প্রিটি, ব্রাউনি, সিম্বি, জ্যাকসো, জোজো, পরী, মারলী, মিঠি, ইমু, লিও, জলিসহ নানা নামের বিড়াল অংশ নেয়। যেমন খুশি তেমন সাজো, প্রদর্শনী ও র‍্যাম্প শোতে অংশ নেয় ১৩০টি বিড়াল।
নগরের নতুন বাজার এলাকার গৃহিণী শাহানাজ মাইফুল ছেলে আফিদ আমিন চৌধুরীকে নিয়ে মেলায় আসেন। পার্সিয়ান জাতের দুটি বিড়াল ছিল তাদের হাতে। বিড়ালের শরীরে ছিল বর্ণিল পোশাক, চোখে ছিল চশমা। একটির নাম মুলু, অন্যটি প্রিটি।
আফিদ আমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাসায় বিড়ালগুলো আমাদের ভাইবোনের মতো। বাবা-মা আমাদের যেমন কেয়ার করে, তাদেরও তেমনি কেয়ার করে। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাই বিড়ালের সঙ্গে। মুঠোফোনে গেম খেলার চেয়ে বিড়ালের সঙ্গে খেলা অনেক ভালো।’
নগরীর কালীবাড়ী রোডের তরুণী আফরিন একটি সংকর জাতের বিড়াল ৯ মাস ধরে লালন-পালন করছেন। নাম দিয়েছেন লিও। তিনি বলেন, ‘বিড়াল কাছে থাকলে মন খারাপ হয় না। বিড়ালটা এখন পরিবারের অংশ হয়ে গেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিড়ালপ্রেমীদের মিলনমেলা
  • বিচার সেবা দেওয়া দ্রুত ও কার্যকর নিশ্চিত করাই লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি
  • সংস্কার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে: প্রধান বিচারপতি
  • জিম্মির লাশ নিয়ে ফের যুদ্ধের শঙ্কা 
  • ছয় কমিশনের প্রতিবেদন এবং ঐকমত্যের প্রশ্ন
  • বাংলাদেশ হউক বহুপক্ষীয়
  • আগে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে গণ অধিকার পরিষদ
  • আমলাতন্ত্রের দোরগোড়ায় আটকে যায় সব সংস্কার
  • দলগুলো সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব হবে: আলী রীয়াজ