রাজশাহীর ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আবুল বাসার মিন্টুকে হত্যার ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নগরের রাজপাড়া থানায় এ মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী। 

এদিকে, ব্যবসায়ী মিন্টুর খুনিদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে রাজশাহীর ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে তাদের সংগঠনের সদস্য আবুল বাসারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

বাবার বিরুদ্ধে সন্তানকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: কে এই ‘চরমপন্থি’ নেতা হানিফ?

ব্যবসায়ী আবুল বাসার মিন্টু নগরের বিনোদপুর বাজারের মেসার্স তামিম ইলেকট্রিকের মালিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন পদ্মার পাড়ে মুখে পলিথিন ও স্কচটেপ প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগান, আটক ৩

স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগান দিয়ে ‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টার’ অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের মহাসচিব সিরাজগঞ্জ জেলার সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৫০) ও আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট সোহেল পারভেজ (৪১)।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কয়েকজন। এ সময় তারা হাতে লাল পতাকা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে ওই তিনজনকে আটক করে। 

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির বলেন, উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছিল কয়েকজন। এ সময় তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ