ওরা আমার পা ভেঙে ফেলেছে, অভিযোগ দিতি-সোহেল চৌধুরীর মেয়ের
Published: 22nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত জেরে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী দিতি ও সোহেল চৌধুরী কন্যা লামিয়া চৌধুরী। আজ শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া জানান, সন্ত্রাসীরা তার পা ভেঙে ফেলেছে। সেই সঙ্গে তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করেছে।
এদিন হামলার ঘটনার সময় লামিয়া চৌধুরী তাঁর ফেসবুক থেকে লাইভও করেছেন। সেখানে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন লোক উত্তেজিত হয়ে তেড়ে আসছেন লামিয়া ও তাঁর নিকটাত্মীয়দের দিকে।
সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আম্মা মারা যাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবারে কাজিনদের নিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জে যাই। ওখানে আমাদের আত্মীয়স্বজন থাকেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসি। আজও গিয়েছিলাম। আসার পরই সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁতে আমাদের পৈতৃক জায়গা দখল করার চেষ্টা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই টার্গেটে আমি যাওয়ার পর দলবল সন্ত্রাসীরা আসে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।’
লামিয়া বললেন, ‘প্রথমে আমার ওড়না টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। এরপর আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলেদিয়েছে। আঘাত করে আমার পা ভেঙে ফেলেছে। আমি হাটতে পারছিলাম না। পরে প্রাণ বাঁচাতে আমার ড্রাইভার কোনো রকম আমাকে গাড়িতে তুলে সেখান থেকে নিয়ে এসেছে। ওরা আমার খালাকে খুঁজে পাচ্ছি না। ওরা আমার খালাকে আটকে রেখেছে।’
লামিয়া জানান, এখন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করবো। মামি প্রীতি ও স্থানীয় কিছু লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিনম্র শ্রদ্ধায় একুশের বীর শহীদদের স্মরণ করলো পূজা পরিষদ
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রভাত ফেরি ও শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ একুশের প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয়। এরপর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি তিলোত্তমা দাস, সহসভাপতি প্রদীপ সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি হিমাদ্রী সাহা হিমু, যুগ্মসম্পাদক শংকর কুমার রায়, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল বিশ্বাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন বর্মন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, প্রচার সম্পাদক তারক দাস, সহ-প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, ১৪নং ওয়ার্ড সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ভজন সাহা, সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষ, সুজন দাস, প্রান কৃষ্ণ ভৌমিক, পরশ হাজরা, শ্যামল শর্মা যোগিন্ড দাস প্রমুখ।