বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
Published: 22nd, February 2025 GMT
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে- এমনই আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক দলের এক সভায় এমন আশ্বাস দেন তিনি।
এসময় রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের শৃঙ্খলভাবে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন মঈন খান বলেন, আপনারা রাস্তায় শৃঙ্খলা অনুযায়ী গাড়ি চালাবেন। সেই সঙ্গে মানুষের সেবা করবেন।
আলোচনা সভায় সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে ১২টি দাবি জানানো হয়। সেগুলোর মধ্যে ১০টি দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মঈন খান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি এবং আমি যদি কোনো দায়িত্ব পাই, তাহলে সবার আগে আপনাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে কাজ করব।
তিনি বলেন, আমি আইটি মন্ত্রী ছিলাম। আইটি বাংলাদেশে প্রসারের জন্য আমিই সর্বপ্রথম কাজ করেছি। এদেশের সাবমেরিন কেবল আমি খালেদা জিয়াকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছি।
সভায় সব মামলার ডাবল জরিমানা আদায় বন্ধের আহ্বান জানান বক্তারা। এছাড়াও যেকোন মামলার জরিমানা ১ হাজার টাকার নির্ধারণ করাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন তারা।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান সারোয়ার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিরোধীতা করেন। দাবি তোলেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এছাড়াও বক্তব্য দেন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জাতীয়তাবাদী সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক দলের সভাপতি ভিপি রুহুল আমীন মুন্সি প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ মঈন খ ন স এনজ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ঘটনাটি ঘটে। বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৮) ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মহরম আলীর ছেলে জীবন আলী (১৭)। তারা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত নেতার মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের মামলা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলায় বিএনপির দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে আছেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেন। অপর পক্ষে রয়েছেন মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়া। একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের ভেতরের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। এরপর বিএনপি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হন।
জমির ও ইমাম হোসেন এবং মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনাম খাঁ বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত। এই ঘটনার জন্য দায়ী তারা যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন এবং তাদের দাওয়াত দিয়ে শহীদ মিনারে এনেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকগুলােই সুযোগ পেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখে প্রত্যেক আওয়ামী লীগের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষেয়ে জানতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার মোবাইলে কল করা হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল আগে পরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ