এক দিনের সফরে ইরানে যাচ্ছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এ সময় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাবে। আজ শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেরি এক বিবৃতিতে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান আলাপ–আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফর করবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সফরকালে ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে লাভরভের।
এদিকে রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি ইরানের বার্তা সংস্থা আইএসএনএকে বলেন, আগামী মঙ্গলবার এক দিনের সফরে তেহরানে যেতে পারেন লাভরভ।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইরান সফর করেন লাভরভ। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বৈঠকে যোগ দিতে তিনি ওই সফরে যান।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের মিত্র তেহরান ও মস্কো। গত ডিসেম্বরে বাশারকে উৎখাত করেন বিদ্রোহীরা।
পশ্চিমা দেশগুলো ইতিমধ্যেই তেহরান ও মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য মস্কোকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে তেহরান। এ কারণে তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও ইরান এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট র ল ভরভ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ড সফর ঘিরে বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের আসন্ন গ্রিনল্যান্ড সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘অত্যন্ত আগ্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ নেতারা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে এ সফরে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। তারা গ্রিনল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি কুকুরের স্লেজ দৌড় প্রতিযোগিতা দেখবেন।
গ্রিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে তাদের এ সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনো বৈঠকে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু ভাবতাম, কিন্তু সেই সময় শেষ’। গ্রিনল্যান্ডের গত ১১ মার্চের নির্বাচনে বিজয়ী দল ডেমোক্র্যাটসের নেতা জেনস ফ্রেডেরিক নিলসেন প্রতিনিধি দলের এ সফরকে ‘গ্রিনল্যান্ডের জনগণের প্রতি অসম্মান’ বলে অভিহিত করেছেন।
সফরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। এগেডে বলেন, ‘ওয়াল্টজের উপস্থিতি ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের মিশনকে উস্কে দেবে এবং আমাদের ওপর মার্কিন চাপ আরও বাড়বে’।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা চান ট্রাম্প। এমনকি ডেনমার্কের অধীনে থাকা অঞ্চলটির দখল নিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। গ্রিনল্যান্ডের অমূল্য খনিজসম্পদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য অঞ্চলটির গুরুত্ব অপরিহার্য।
বিভিন্ন প্রলোভনের পরও গ্রিনল্যান্ডের অধিকাংশ জনগণ ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনার বিপক্ষে। গত জানুয়ারির এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮৫% মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না এবং ৫০% মনে করে ট্রাম্পের এই আগ্রহ দেখানো তাদের জন্য হুমকি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরের বিষয়ে অনেকটাই স্পষ্ট ডেনমার্কের অবস্থান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই, তবে সার্বভৌমত্বের মূলনীতি মেনে’।
হোয়াইট হাউস এ সফরকে ‘সাংস্কৃতিক’ সফর বলে দাবি করলেও গ্রিনল্যান্ডের নেতারা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দখল পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।