১৯৯০ সালে কলকাতায় এক প্রীতি টুর্নামেন্টে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। তবে এশিয়ান বা দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের মতো বড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কখনো হারেনি।

প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে নেপালের কাছে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। পল্টন মাঠে দুই দেশের ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ স্বাগতিক বাংলাদেশ ৫৩-২৯ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়েছে সফরকারী দলকে। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ২৮-১১ পয়েন্টে।

প্রথম ম্যাচটা সহজে পার হওয়ায় বাংলাদেশ ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। অধিনায়ক মিজানুর রহমান আজ ম্যাচ শেষে যেমন বললেন, ‘ভালো ম্যাচ হয়েছে। কোচ যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই খেলেছি। নেপালে কদিন আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে। আমিসহ বাংলাদেশের ৬ খেলোয়াড় খেলে এসেছি। নেপালের কাবাডি এগোচ্ছে। আজ হয়তো ওরা ভালো করতে পারেনি। নিশ্চয়ই ওরা ঘুরে দাঁড়াবে। তবে আশা করি, আমরা ৫-০তেই এই সিরিজ জিতব।’

আরও পড়ুনচারে চার করে বাংলাদেশের আরেকটি কাবাডি উৎসব০৩ জুন ২০২৪

গত বছর ঢাকায় সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে তীব্র লড়াই করেছিল নেপাল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা ৪৫-৩১ পয়েন্টে হেরেছে। সেই ম্যাচের তুলনায় আজ সেভাবে খেলতে পারেনি নেপাল। সফরকারী দলটিকে দেখে বাংলাদেশ কোচ বাদশা মিয়াও আত্মবিশ্বাসী ৫-০ হওয়ার ব্যাপারে, ‘আজ যেভাবে খেলেছি এভাবেই খেলতে পারলে ৫-০ হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।’

কাবাডিতে নেপালকে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে বাংলাদেশ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ড সফর ঘিরে বিতর্ক

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের আসন্ন গ্রিনল্যান্ড সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘অত্যন্ত আগ্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ নেতারা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা ভ্যান্সের নেতৃত্বে এ সফরে থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। তারা গ্রিনল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি কুকুরের স্লেজ দৌড় প্রতিযোগিতা দেখবেন।

গ্রিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে তাদের এ সফরকে ‘উস্কানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনো বৈঠকে অংশ নেবে না। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু ভাবতাম, কিন্তু সেই সময় শেষ’। গ্রিনল্যান্ডের গত ১১ মার্চের নির্বাচনে বিজয়ী দল ডেমোক্র্যাটসের নেতা জেনস ফ্রেডেরিক নিলসেন প্রতিনিধি দলের এ সফরকে ‘গ্রিনল্যান্ডের জনগণের প্রতি অসম্মান’ বলে অভিহিত করেছেন।

সফরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। এগেডে বলেন, ‘ওয়াল্টজের উপস্থিতি ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের মিশনকে উস্কে দেবে এবং আমাদের ওপর মার্কিন চাপ আরও বাড়বে’।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা চান ট্রাম্প। এমনকি ডেনমার্কের অধীনে থাকা অঞ্চলটির দখল নিতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। গ্রিনল্যান্ডের অমূল্য খনিজসম্পদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য অঞ্চলটির গুরুত্ব অপরিহার্য।

বিভিন্ন প্রলোভনের পরও গ্রিনল্যান্ডের অধিকাংশ জনগণ ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখল পরিকল্পনার বিপক্ষে। গত জানুয়ারির এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮৫% মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না এবং ৫০% মনে করে ট্রাম্পের এই আগ্রহ দেখানো তাদের জন্য হুমকি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফরের বিষয়ে অনেকটাই স্পষ্ট ডেনমার্কের অবস্থান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই, তবে সার্বভৌমত্বের মূলনীতি মেনে’।

হোয়াইট হাউস এ সফরকে ‘সাংস্কৃতিক’ সফর বলে দাবি করলেও গ্রিনল্যান্ডের নেতারা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দখল পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ড সফর ঘিরে বিতর্ক