Risingbd:
2025-03-31@14:30:32 GMT

পিরোজপুরে ভুয়া পুলিশ আটক

Published: 22nd, February 2025 GMT

পিরোজপুরে ভুয়া পুলিশ আটক

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ভুয়া পুলিশ সন্দেহে সাইফুল ইসলাম চাঁন (২৯) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে নাজিরপুর উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুইচাকাঠী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। 

নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মাহামুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটক সাইফুল ইসলাম পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পূর্ব জুজখোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোল্লার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আটক সাইফুল ইসলাম অনলাইনে এ্যাপাচি ফোরভি নামে একটি মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেখে বরিশালের নতুন বাজার এলাকার প্রশান্ত দাস নামে একজন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় মোটরসাইকেলটি কিনতে পিরোজপুর-নাজিরপুর- গোপালগঞ্জ সড়কের টেক্সটাইল এলাকায় আসে। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম তাকে নাজিরপুর উপজেলার পশ্চিম বুইচাকাঠী গ্রামে নিয়ে যায়। 

পরে সাইফুল ইসলাম সহ তিনজন মিলে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রশান্ত দাসের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চাইলে প্রশান্ত দাস ডাক চিৎকার দেন। প্রশান্তের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা সাইফুল ইসলামকে আটক করে। এসময় বাকি তিনজন পালিয়ে যায়। আটককৃত সাইফুলকে নাজিরপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। 

নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ আল ফরিদ ভুঁইয়া বলেন, “ভুয়া পুলিশ সন্দেহে স্থানীয়রা সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পুলিশের জ্যাকেট ও একটি পিস্তলের খাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সে সদর থানার বাসিন্দা হওয়া তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/তাওহিদুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের নামাজে মাইকের শব্দ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ বাড়ানো-কমানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দহকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামে স্থানীয় মাতব্বর আবুল হোসেন কাবুল ও নওয়াব আলীর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে গ্রামের ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আরো পড়ুন:

বরিশালে প্রধান জামাতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নামাজ আদায়

সাইপ্রাসে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি।

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ