ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে আকাশ আগের তুলনায় বেশি পরিষ্কার থাকবে। শহরের বাইরে গ্রামের আকাশে তারার উপস্থিতি বাড়বে। রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পেরিয়ে দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত আকাশে বিচিত্র সব চমক দেখা যাবে। এ সপ্তাহের আকাশে যা যা দেখা যাবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

২২ ফেব্রুয়ারি

সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত শুক্র গ্রহ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। এ ছাড়া মঙ্গল গ্রহ দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত ও বৃহস্পতি গ্রহ দিবাগত রাত ১টা ১১ মিনিট পর্যন্ত দেখা যাবে আকাশে। শনি গ্রহ ও ইউরেনাস আকাশে দেখা গেলেও বেশ কষ্ট হবে দেখতে। অন্যদিকে নেপচুন গ্রহ আকাশে থাকলেও সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত দেখতে অনেক কষ্ট হবে। বৃহস্পতি গ্রহের পাশে টাওরাস নামের তারকা দেখা যাবে। ঠিক রাত ১১টা ৬ মিনিটে টাওরাসের কিছুটা দূরে বিটেলগেউস নামের ওরিয়ন তারকাপুঞ্জের উজ্জ্বল তারকার অবস্থান থাকবে। তার কিছুটা দূরে লুব্ধক বা সিরিয়াস এ তারকা দেখা যাবে।

২৩ ফেব্রুয়ারি

রাত ৮টা ৩০ মিনিট ঠিক মাঝখানে উজ্জ্বলভাবে শুক্র গ্রহ অবস্থান করবে। দিবাগত রাত ১টা ৭ মিনিটে বৃহস্পতি গ্রহ ও দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে মঙ্গল গ্রহ ঠিক মধ্য আকাশে অবস্থান করবে।

২৪ ফেব্রুয়ারি

আকাশে স্পষ্টভাবে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ দেখা যাবে।

২৫ ফেব্রুয়ারি

আকাশে রাত আটটার পরে শুক্র, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলে দেখা যাবে। এদিন রাত ১১টা ৬ মিনিটে বৃহস্পতি গ্রহের ঠিক ওপরে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান দেখা যাবে।

২৬ ফেব্রুয়ারি

এদিন পশ্চিমাকাশে স্পষ্টভাবে মঙ্গল গ্রহ দিবাগত রাত ৩টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। রাত ৮টা ৪৭ মিনিটে ঠিক মধ্য আকাশে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান দেখা যাবে।

২৭ ফেব্রুয়ারি

রাত ১১টা ৬ মিনিটে পূর্বের আকাশে আর্কটুরাস, দক্ষিণ–পশ্চিম আকাশে সিরিয়াসে এই তারকার অবস্থান থাকবে।

২৮ ফেব্রুয়ারি

এদিন রাত ৯টায় মঙ্গল গ্রহ উত্তর আকাশে ও ৮টা ৩০ মিনিটে বৃহস্পতি গ্রহ উত্তর–পশ্চিম আকাশে অবস্থান করবে। পশ্চিম আকাশে টাওরাস ও বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান কাছাকাছি থাকবে রাত ১১টার পরে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অবস থ ন অবস থ ন ক র ত ১১ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এতো বড় হার আগে দেখেনি ব্রাজিল 

ম্যাচের আগে গালকাটা কথা বলেছিলেন ব্রাজিলের বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়া, ‘আমরা তাদের মাঠে হারাব, মাঠের বাইরেও হারাব।’ সঙ্গে তির্যক ভাষায় গালিও দিয়েছিলেন। 

অথচ ম্যাচে আর্জেন্টিনার মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে পাত্তাই পায়নি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করে আলবিসেলেস্তেরা ৪-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপে পা রেখেছে। 

অন্য দিকে ব্রাজিলের সঙ্গী হয়েছে লজ্জা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে প্রথমবার ব্রাজিল ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ পেয়েছে। এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এতো বড় হার আগে দেখেনি সেলেসাওরা। 

ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে ৪ মিনিটে গোল করেন হুলিয়ান আলভারেজ। ১২ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। এরপর ম্যাচে গোলপোস্টে একমাত্র শট নিয়ে ২৬ মিনিটে এক গোল শোধ করে ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টার আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় গোল করেন। জুলিয়ানো সিমিওনে ৭১ মিনিটে ব্রাজিলের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ