বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার ও জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের (দাদা ভাই) ভাতিজী ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেছেন, বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ জাসদ গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বিরোধী দল হিসেবে জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল। খণ্ড বিখণ্ড হয়ে দল আজকের অবস্থানে এসেছে। খণ্ডিত জাসদ নয়, সব গ্রুপকে এক করে আমরা ঐক্যবদ্ধ জাসদ গঠন করতে চাই। এজন্য তৃণমূল কর্মীদের আগে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কর্মীরা এক হলে নেতারা এক হতে বাধ্য।

শনিবার সকালে খুলনা প্রেস ক্লাবে বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাসদের সব গ্রুপের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে এই আয়োজন করেন ব্যারিস্টার ফারাহ খান।

সভায় জাসদ (ইনু), বাংলাদেশ জাসদ এবং জেএসডির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার ফারাহ খান বলেন, জাসদ কোনো নেতার দল নয়, জাসদ কর্মীদের দল। কর্মীরাই সময়ের প্রয়োজনে নেতা তৈরি করেছেন। কিন্তু নেতারা ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। নেতৃত্বের জন্য দল ভেঙে টুকরো হয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মাথায় রেখে জাসদকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। কর্মীরা এক হলে নেতারা কর্মীদের কথা শুনতে বাধ্য।

তিনি বলেন, আমাদের নেতারা কখনও শেখ হাসিনা, কখনও খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করেছে। আমরা অন্য দলের প্রতীক নিয়ে কোনো নেতাকে নির্বাচন করতে দেব না। আসুন এবার দলকে শক্তিশালী করি। ৬ মাস আমরা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, কিছু করতে পারি কি না দেখি।

ফারাহ খান বলেন, সারাদেশে জাসদের হাজার হাজার কর্মী জেএসডি, জাসদ (ইনু), বাংলাদেশ জাসদের ব্যানারে রাজনীতি করছে। কিন্তু তৃণমূলের নিষ্ক্রিয় কর্মীরা এটা দেখতে চায় না। তারা ৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত আগের মতো একটি শক্তিশালী দল গঠনে আগ্রহী। তারই অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগে মতবিনিময় সভা হলো। একে একে দেশের সব বিভাগে এ ধরনের মতবিনিময় সভা হবে। সারাদেশ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। অচিরেই জাসদের সব নেতাকর্মী এক হয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে সিরাজুল আলম খানের (দাদা ভাই) ১৪ দফার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাসদের নতুন জন্ম হবে।

প্রবীণ জাসদ নেতা এম এ আউয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় ঐক্য জাসদ গঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আ ফ ম মহসীন, এ টি এম মহব্বত আলী, গোলাম মোর্তজা, রফিকুল হক খোকন, আশেক ই এলাহী, ফকির শওকত, দিদারুল আলম, স ম রেজাউল, ইদ্রিস আলী, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, এম নিজাম উদ্দিন, মোস্তাকুজ্জামান, মো.

হাসান, মিরাজ হোসেন, ইমরান হোসেন, আরেফিন সুজন প্রমুখ।

এছাড়া ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাংবাদিক শেখ আবু হাসান, আবু কাজী, ওয়াহেদুজ্জামান বুলু, মুনসুর আহমেদ, এম এ সবুর, আব্দুর রাজ্জাক মন্টুসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক জাসদ নেতা এ সভায় যোগ দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ম দ র কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুগো শোনো...

শ্রোতা প্রাণ খুলে গাইছে, কখনও ফেটে পড়ছে উল্লাসে– এমন দৃশ্যের সাক্ষী হতে চান প্রায় সব শিল্পী। দিলশাদ নাহার কনা এর ব্যতিক্রম নন। নন্দিত এই শিল্পীর চাওয়া পূরণ হয়েছে বহু বছর আগেই; বরং তাঁর গাওয়া গানগুলোর সঙ্গে অনুরাগীদের উল্লাসে মেতে ওঠার দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এমন অনেক গান আছে, যা  দীর্ঘ সময় শ্রোতামনে অনুরণন তুলে যাচ্ছে। যার সুবাদে কনা নিজেও রপ্ত করে ফেলেছেন উৎসব আয়োজনগুলো জমকালো করে তোলার মন্ত্র। বেশি দূরের নয়, সদ্য পেরিয়ে আসা ঈদ আর বৈশাখী আয়োজনের দিকে যদি নজর দিই। তাহলে দেখা যাবে এই দুই উৎসবের জনপ্রিয় গানগুলোর বেশির ভাগই কনার গাওয়া। শ্রোতার মুখে মুখে ফিরছে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমায় ইমরানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর ‘কন্যা’ গানটি। পাশাপাশি ঈদের সিনেমা ‘জংলি’-তে নন্দিত সুরকার প্রিন্স মাহমুদের কথা-সুর ও সংগীতায়োজনে গাওয়া ‘বন্ধুগো শোনো’ গানটিও প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে। এই গানেও কনার সহশিল্পী ইমরান। এর বাইরেও আসিফ আকবরের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া অডিও গান ‘ভীষণরকম ভালোবাসি’, আরিটিভির ‘আর মিউজিকে’ অনুষ্ঠানে গাওয়া ফিউশন গান ‘বাউলা কে বানাইলো রে’, ‘মন দিতে চাই’ নাটকে ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘ভালোবাসা এমনই হয়’, ‘পায়েল’ নাটকে সালমান জাইমের সঙ্গে গাওয়া ‘বুকে লাগে টান’, ‘মন দুয়ারী’ নাটকে নাজির মাহমুদের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার ব্যথায় আমি’ এবং ‘হৃদয়ে রেখেছি গোপনে’ নাটকে ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুই আমার ভালোবাসা’সহ আর বেশ কিছু গান শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। তাই সময়টা যে এখনও কনার দখলে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। প্রায় দুই দশক ধরে গানের ভুবনে কনার বিচরণ। দীর্ঘ সংগীত সফরে শিশুশিল্পী থেকে হয়ে উঠেছেন একজন পরিণত ভার্সেটাইল শিল্পী। তা সম্ভব হয়েছে গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর নিরলস সংগীতচর্চার মধ্য দিয়ে। শ্রোতার কাছে তার সব নিবেদন। সে কারণে আমরা তাঁকে দেখি, দিনমান দেশ-বিদেশের মঞ্চে ছুটে বেড়াতে। গানে গানে সিনেমা, নাটক, অ্যালবাম, বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল থেকে শুরু করে রেডিও, টিভি আয়োজনসহ সব মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁর কণ্ঠ। খ্যাতির মোহে নাকি সাত সুরের মায়াজালে বাঁধা পড়েছেন বলে এই ব্যস্ততা? সে প্রশ্ন করলে কনা হেসে বলেন, ‘খ্যাতির মোহে না, শিল্পী পরিচয় ভালোবাসি বলেই সংগীতে ডুবে আছি। শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছি বলে তাদের প্রত্যাশা পূরণের দায় অনুভব করি। তাই শ্রোতা যতদিন নতুন কিছু চাইবেন এবং চেষ্টা করে যাব তাদের নতুন কিছু দেওয়ার।’ প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে এসব মাধ্যমে সরব থাকার চেষ্টা, তা কি মনের মধ্যে বাড়তি কোনো চাপ তৈরি করে না? ‘একদমই না। কারণ যখন যা করি, তা আনন্দ নিয়েই করি। তাই কোনো কাজে আলাদা কোনো চাপ অনুভব করি না। তা ছাড়া জনপ্রিয়তার মোহে যে কোনো কাজ করার ইচ্ছা কখনও ছিল না। তাই প্রতিটি কাজে থাকে যত্ন ও ভালোবাসার ছাপ।’ কনার এ কথায় বোঝা গেল, সংগীতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা নিবিড় ভালোবাসার। তাই দিনরাত গানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসেন। এ কারণে গায়কীতে বারবার নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন। সে কারণে আধুনিক মেলো-রোমান্টিক গান থেকে শুরু করে রক, পপ, টোকনো, ফোক ফিউশনসহ বিভিন্ন ধাঁচের গান তাঁর কণ্ঠে শোনার সুযোগ পান সংগীতপ্রেমীরা। আগামীতেও সেই সুযোগ পাবেন– সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কনা নিজে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাথা ঘোরার সমস্যা হলে কেন চেকআপ করা জরুরি
  • বেলা শেষের যাত্রী
  • বিমুখতা নয়, সচেতনতা
  • মন ভালো করার জাপানি উপায় ‘রুইকাতসু’
  • রাজনৈতিক উপন্যাসের স্মরণীয় কণ্ঠস্বর
  • হালদায় ডুবলেন মঞ্জু সঙ্গে পরিবারের স্বপ্নও
  • শিল্পী পরিচয় ভালোবাসি বলেই সংগীতে ডুবে আছি: কনা
  • বন্ধুগো শোনো...