ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর সার্ভিসে যুক্ত হলো ‘হাই ক্যাপাসিটি ভ্যাকুয়াম পাম্প’
Published: 22nd, February 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপে যুক্ত হলো নতুন সেবা। প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের কুড়িল শাখায় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রেফ্রিজারেটর সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগে হাই ক্যাপাসিটি ভ্যাকুয়াম পাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এই সংযোজনের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর সার্ভিসের গতি, কার্যকারিতা এবং মান আরো উন্নত হবে বলে আশা করছেন সেবা-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিন উল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিফ সার্ভিস অফিসার নিয়ামুল হক, সার্ভিস হেড অব অ্যাডমিন আবু সুফিয়ান, হেড অব রেফ্রিজারেটর সার্ভিস মোহাম্মদ সামিউল হক, ডেপুটি হেড অব রেফ্রিজারেটর সার্ভিস ইশতিয়াক হোসেন মৃদুল এবং হেড অব কমপ্লায়েন্স মাহমুদুল হক।
আরো উপস্থিত ছিলেন কুড়িল সার্ভিস পয়েন্টের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইশতিয়াক জাহান, রেফ্রিজারেটর সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট থেকে সৌরভ বণিক, শাহেদ বিন জাহান, আলমগীর হোসেন, সালেহ আহমেদীন হীরা প্রমুখ।
চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিন উল হক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর সার্ভিস খাতে এই প্রথমবারের মতো হাই ক্যাপাসিটি ভ্যাকুয়াম পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের ভ্যাকুয়াম কোয়ালিটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা রেফ্রিজারেটর সার্ভিসের গতি ও মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’’
চিফ সার্ভিস অফিসার নেয়ামুল হক বলেন, ‘‘ওয়ালটন সব সময় গ্রাহকসেবার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরো দ্রুত, কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য সেবা নিশ্চিত করবে।’’
উল্লেখ্য, হাই ক্যাপাসিটি ভ্যাকুয়াম পাম্পের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর সার্ভিস খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। প্রতিষ্ঠানটির এই উদ্ভাবনী পদক্ষেপের ফলে গ্রাহকরা আরো উন্নত ও দ্রুত সেবা উপভোগ করতে পারবেন, যা দেশের ইলেকট্রনিক্স মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়ালটন গ্রুপ ভবিষ্যতেও এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ও টুলস সংযোজনের মাধ্যমে গ্রাহকসেবাকে আরো সমৃদ্ধ ও বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স অফ স র হ ড অব
এছাড়াও পড়ুন:
গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাইখানদের প্রার্থনা
গণহত্যার প্রতিবাদ করে জালিম ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে মজলুম গাজাবাসীর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়।
গাজায় গণহত্যা ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য কুয়াকাটায় মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে এক মিনিট নীরাবতা পালন করে রাখাইন সম্প্রদায়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুক্রবার রাখাইন জলকেলি উৎসবের শুরুতে গাজায় গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি: রাইজিংবিডি
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে
অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি
শুক্রবার দুপুরে (১৮ এপ্রিল) কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন রাখাইন মাঠে জলকেলি উৎসবের প্রারম্ভে সবাই দাঁড়িয়ে এই নীরবতা পালন করেন।
রাখাইনদের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গাজাবাসীর জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় বলেও জানিয়েছেন সম্প্রদায়টির ধর্মগুরুরা।
গণহত্যা অভিযানে গাজা ও ফিলিস্তিন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাখাইনদের এসব উদ্যোগ মানবতার জন্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষ।
রাখাইন জলকেলি উৎসব দেখতে আসা কলাপাড়ার আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বলেন, “আজ জলকেলি দেখতে রাখাইন মাঠে এসেছি। এখানে এসে একেবারেই অবাক হয়েছি। তারা অনুষ্ঠানের শুরুতেই গাজাবাসীর জন্য নীরবতা পালন করেছে।”
“নিপীড়িত গাজাবাসীর জন্য তাদের সহমর্মিতা আমাকে আপ্লুত করেছে,” বলেন হোসেন মিয়া।
মহিপুর থেকে আসা মো. আবদুস সালাম বলেন, “এমনিতেই রাখাইনদের সঙ্গে আমাদের একটি সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আজ তারা গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করেছে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আরো বেড়ে গেল।”
মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ উত্তম মহাথের বলেন, “আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গাজাবাসীর জন্য প্রায়ই বিশেষ প্রার্থনা করি। শুধু গাজাবাসীই নয়, পৃথিবীর সকল দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যুদ্ধ বন্ধ হোক- এটাই আমাদের প্রার্থনা।”
“ আমরা মানুষ হিসেবে সবাইকে সবার প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি,” বলেন উত্তম মহাথের।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “গাজাবাসীর প্রতি রাখাইন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে মানবতার সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি তারা দেখিয়েছেন, এ জন্য তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
“রাখাইন সম্প্রদায় ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও মানবতার ধর্ম সবার এক। তাই রাখাইন সম্প্রদায় এই নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের সম্প্রীতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল।”
শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাখাইন জলকেলি উৎসব, যাতে শামিল হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বিদেশিরাও।
উৎসব শুরুর দিন ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় রাখাইনদের। তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের আনন্দ করতে দেখা যায়। উৎসবে সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঢাকা/ইমরান/রাসেল