ওয়ালটন প্রেসিডেন্ট কাপ গলফ টুর্নামেন্ট সোমবার শুরু
Published: 22nd, February 2025 GMT
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও আর্মি গলফ ক্লাবের আয়োজনে আগামী সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘সপ্তম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৫।’ দেশি ও বিদেশি ৮ শতাধিক অ্যামেচার গলফারের অংশগ্রহণে চারদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ২৮ ফেব্রুয়ারি সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আর্মি গলফ ক্লাবের ক্লাব হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডভাইজার (স্পোর্টস) এফ.
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অ্যামেচার গলফারদের নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট পাঁচটি ক্যাটাগোরিতে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগোরিগুলো হলো- লেডিস, জুনিয়র, ভ্যাটার্ন, রেগুলার ও সিনিয়র। টুর্নামেন্টে ৮৫০ খেলোয়াড় অংশ নিতে যাচ্ছেন। যার মধ্যে বিদেশিরাও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ওয়ালটন পণ্য কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ
মাস্কটে ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স
গঙ্গার পানি, সার্কসহ দ্বিপক্ষীয় উদ্বেগ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি বৈঠক
সংবাদ সম্মেলনে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘‘গেল আট-নয় বছর ধরে আমরা ওয়ালটন পরিবার গলফের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। প্রায় সব গলফ ক্লাবের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি বিভিন্ন গলফ ক্লাবে যতোবেশি অ্যামেচার টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে ততোবেশি পেশাদার গলফার তৈরির সম্ভাবনা বাড়বে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণও বাড়বে।’’
অ্যাডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ‘‘অত্যন্ত নির্মল ও সুন্দর পরিবেশে গলফ খেলাটা খেলা হয়। সবুজের এমন অভয়ারণ্যে আসলে মন ভালো হয়ে যায়। ওয়ালটন পরিবার দেশের বিভিন্ন গলফ ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গলফ নিয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে অ্যামেচার গলফারদের নিয়ে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এসব অ্যামেচার গলফারদের মধ্য থেকেই একদিন দেশসেরা গলফার উঠে আসবে। তৈরি হবে বিশ্বমানের পেশাদার গলফার।’’
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য ম চ র গলফ র গলফ ক ল ব র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠানে ৭ দেশের কবি
তারা ভিন দেশের নাগরিক। কবিতা পাঠ করলেন নিজ নিজ ভাষায়। জানালেন তাদের অনুভূতিও। আবার সেই কবিতা আর অনুভূতির মর্মার্থ ইংরেজিতে বুঝিয়েও দিলেন সবাই।
শুক্রবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘সার্ধশততে একুশের দ্রোহ’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠান হয়। এর আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, কাজাখিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।
বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাপানি নাগরিক মাছিকো ফুকোমারা বলেন, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা অনেক আনন্দের। স্কুল দেখে আমি আমার নিজের দেশ, বাড়ি, শৈশব ও নিজের ভাষাকে মনে পড়ছে। তিনি জানান, এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন।
নাইজেরিয়ান নাগরিক হাওয়া হাসান কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এখানে আমরা অনেক ভাষাভাষী মানুষ একসঙ্গে হয়েছি, এটা খুব ভালো লাগছে।
ফিলিপাইনের নাগরিক হেলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই আছেন বাংলাদেশে। তিনি বলেন, কথা বলতে পারার স্বাধীনতা অনেক বড় বিষয়। অনেক আনন্দের।
ইসাবেল সুয়োরাজ কলম্বিয়ান নাগরিক। এই আয়োজনে এসে তিনি শিশু বয়সে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার স্কুলের সময়ের কথা মনে পড়ছে।
কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বিদেশিদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে খালেদ মোশাররফ, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তার নেতৃত্বে কক্সবাজার হাইস্কুলের ছাত্ররা ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়।
বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের অংশ হিসেবে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের কথা জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সংগঠক ইয়াসির আরাফাত জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসেই তাদের কর্মসূচি থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।