বইমেলায় সাইফুলের ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’
Published: 22nd, February 2025 GMT
আমরা ছোটবেলা থেকেই ইংলিশ শিখতে ভুল করি। আর এ ভুলের মাশুল দেই বড় হয়েও। ইংলিশ না জানার ফলে কত চাকরি ও উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করি, তার ইয়ত্তা নেই।
শিশুরা যেন আনন্দ নিয়ে সঠিকভাবে ইংলিশ শিখতে পারে, সেজন্য এ বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সাইফুল ইসলামের নতুন বই ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’। বইটি পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলায় নিরাপদ প্রকাশনীর ২৫০ নম্বর স্টলে।
নতুন এ বইটির বৈশিষ্ট্য হলো— সবচেয়ে সহজ ও ব্যবহারিক পদ্ধতি, শুদ্ধ উচ্চারণ শেখার কার্যকরি ফর্মুলা, ছন্দে ছন্দে ইংলিশের জড়তা কাটানো, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শব্দের অর্থ শেখা, বাক্য গঠনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি, মেধা বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ ও বিভিন্ন খেলা। এর মাধ্যমে ছোটদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি হবে।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় কুবি শিক্ষিকার গল্পগ্রন্থ ‘বুমেরাং’
প্রেম কিংবা রক্ত-ঝরা কবিতা ‘প্রেমিকাদের কিছুটা বোকা হতে হয়’
সাইফুল ইসলাম বলেন, “বইটির লেখক হিসেবে আমার লক্ষ্য ছিল ইংরেজি শেখাকে শিশুদের জন্য সহজ, মজাদার ও কার্যকর করা। আমি লক্ষ্য করেছি, অনেক শিশু ইংরেজি শেখায় সমস্যায় পড়ে। কারণ প্রচলিত পদ্ধতিগুলো কঠিন ও একঘেয়ে মনে হয়। তাই আমি এমন একটি বই ডিজাইন করেছি, যেখানে সহজ ব্যাখ্যা, আকর্ষণীয় অনুশীলন ও বাস্তব জীবনের কথোপকথনের মাধ্যমে শিশুদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।”
তিনি বলেন, “শেখা আনন্দদায়ক হওয়া উচিত। এজন্য বইটিতে রঙিন ছবি, মজার অনুশীলন ও ইন্টারএকটিভ কনটেন্ট যুক্ত করেছি, যা শিশুদের শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। বইটি শুধু ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডার শেখার জন্য নয়— এটি শিশুদের ইংরেজিতে স্বাভাবিকভাবে ও নির্ভয়ে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে। আশা করি, ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’ শিশু, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য একটি সহায়ক বন্ধু হয়ে উঠবে এবং ইংরেজি শেখার অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তুলবে।
সাইফুল ইসলাম ইংলিশ থেরাপির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন্সট্রাক্টর। রকমারি ও বইফেরীর মতো প্ল্যাটফর্মে তাঁর বই বারবার বেস্টসেলার হয়েছে।
এ পর্যন্ত তিনি জেসিআই বাংলাদেশ টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস (টিওওয়াইপি) ২০২৩, বেস্ট নিউবি রাইজিং টিচার অ্যাওয়ার্ড, রকমারি বেস্ট সেলার এওয়ার্ড ২০২৪, ডিআরআর অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, এবং মজার ইশকুলের সেরা স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার অর্জন করেন।
ঢাকা/আশিক/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন
সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। দেশে আট কোটি শ্রমজীবী মানুষ আছেন। তার মধ্যে ৮৫ শতাংশ বা ৭ কোটি শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা নেই। শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিটি এই শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে।
কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিশেষ সুপারিশ করেছে কমিশন। সেগুলো হলো, শ্রম আইনে মহিলা শব্দের পরিবর্তে নারী শব্দ ব্যবহার এবং কর্মক্ষেত্রে তুই/তুমি সম্বোধন বন্ধ করা।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সুপারিশ সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন। লক্ষ্য হলো, কোনো শ্রমিক যেন তার চেয়ে কম মজুরি না পান, তা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে পরিচয়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক শ্রমিক আন্দোলনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে, সেসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করারও কথাও বলেছে কমিশন।
শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার নিশ্চিত এবং তাঁদের দর-কষাকষি করার প্রক্রিয়া যেন আরও সহজ হয়, তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি দূর করতে ২০০৯ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে কমিশন। সেই সঙ্গে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার কথা বলা হয়েছে, যে সুপারিশ অন্যান্য কমিশনও করেছে।
শ্রমিকদের কল্যাণে সর্বজনীন তহবিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রম আদালতসহ আপিল বিভাগের সর্বক্ষেত্রে যেন বাংলা প্রচলন করা হয়, তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী-পুরুষের সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। গত সরকারের মন্ত্রীরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পলাতক মন্ত্রীদের ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এরপর যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তাদেরও নৈতিক দায়িত্ব হবে, এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন–২০২৫’–এ যোগ দিতে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার বিমানে কাতার যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিআইএলএস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে।