আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বরিশার সদর উপজেলার চরমোনাইতে পীরের দরবারে ৩ দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাসের মাহফিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে ২০ মিনিটের মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। লাখো মুসল্লি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

মোনাজাতে চরমোনাই পীর ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। মুসলিম নিধনকারী দখলদার ইসরাইলের ধ্বংস কামনা করা হয় মোনাজাতে।

মোনাজাতের আগে শেষ বয়ানে পীর রেজাউল করীম বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করতে হবে। যার অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই ওই  মানুষের কোনো মূল্য নেই। পীর বলেন, নিজেকে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব, হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা ও পর্দা জারি করতে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।

গত বুধবার জোহরের নামাজ শেষে উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে চরমোনাইতে তিনদিনব্যাপী মাহফিল শুরু হয়। আয়োজকরা জানান, এবারের মাহফিলে ১০ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। জানাযা শেষে তাদের মরদেহ যার যার বাড়িতে পাঠানো হয়। এবার মাহফিলে ৪ জন অমুসলিম পীরের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চরম ন ই

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপিএল ছেড়েই ‘মানসিক প্রস্তুতিতে’ টেস্ট খেলবেন বিজয়? 

‘মানসিক প্রস্তুতি’। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ পরিচিত শব্দ হয়ে ওঠার কথা। গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির এই বিশেষ ধরনের কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-২০ ফরম্যাটের বিপিএল শেষ করেই ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে অসুবিধা হবে কিনা এমন প্রশ্নে মানসিক প্রস্তুতি থাকার কথা বলেছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেও একই কথা বলেন শান্ত, ‘সিরিজের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।’ এবারো প্রকৃত প্রস্তুতির বদলে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার পেছনে কারণ পরিষ্কার। ডিপিএল খেলতে ব্যস্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে ডাক পাওয়া সব ক্রিকেটার।

টেস্টের জন্য এক সপ্তাহ আগে সিলেটে ক্যাম্প শুরু হয়েছিল। তবে ১৩ এপ্রিলের ওই ক্যাম্পে ছিলেন মাত্র ৮ ক্রিকেটার। বিপিএলের পর ফেব্রুয়ারির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এরপর ডিপিএল; সব মিলিয়ে টানা সাদা বলের ক্রিকেটের পর টেস্টের জন্য এক সপ্তাহ ক্যাম্প করার সময়ও হয়নি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারের। মানসিক প্রস্তুতিই তাই ভরসা ছিল। যা সিলেট টেস্টে কাজে দেয়নি।

এনামুল হক বিজয়ের জন্য এই ‘মানসিক প্রস্তুতি’ হতে যাচ্ছে আরও কঠিন। ডিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। সেঞ্চুরির রেকর্ড করেছেন। বুধবার আবাহনীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি দিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে তার শতকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১। বিজয়ের মাথায় নিশ্চয় ২৬ এপ্রিল ডিপিএলে মোহামেডানের বিপক্ষে সুপার লিগের ম্যাচ ঘুরপাক খাচ্ছিল।

মোহামেডান ম্যাচের জন্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল গাজী গ্রুপের ব্যাটার বিজয়ের। অথচ হুট করে তাকে ডাকা হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে। বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, বিজয় তাদের প্রক্রিয়ার মধ্য ছিলেন, ভাবনায় ছিলেন। প্রক্রিয়া বলতে, গত বছর পাকিস্তানে ‘এ’ দলের হয়ে দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

যদিও ওই সফরের তিন ইনিংসে ১৮ রান করেছিলেন বিজয়। প্রক্রিয়ায় মধ্যে থাকায় বলা নেই, কওয়া নেই, ক্যাম্প করার সুযোগ নেই, ডিপিএল থেকে মোহামেডান ম্যাচের আগে ডেকে পাঠানো হলো জাতীয় দলে। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় অফ ফর্মে আছেন। তাদের একজনকে বসিয়ে এনামুলকে একাদশ নিলে প্রস্তুতির জন্য মাত্র তিনদিন পাবেন তিনি। লম্বা বিরতির পর মাত্র তিনদিনে প্রকৃত প্রস্তুতি নাকি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে টেস্ট খেলতে নামবেন বিজয়?  

সম্পর্কিত নিবন্ধ