আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো চরমোনাই মাহফিল
Published: 22nd, February 2025 GMT
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বরিশার সদর উপজেলার চরমোনাইতে পীরের দরবারে ৩ দিনব্যাপী অগ্রহায়ণ মাসের মাহফিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে ২০ মিনিটের মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। লাখো মুসল্লি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
মোনাজাতে চরমোনাই পীর ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। মুসলিম নিধনকারী দখলদার ইসরাইলের ধ্বংস কামনা করা হয় মোনাজাতে।
মোনাজাতের আগে শেষ বয়ানে পীর রেজাউল করীম বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করতে হবে। যার অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই ওই মানুষের কোনো মূল্য নেই। পীর বলেন, নিজেকে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব, হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বীন শিক্ষা ও পর্দা জারি করতে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।
গত বুধবার জোহরের নামাজ শেষে উদ্বোধনী বয়ানের মধ্য দিয়ে চরমোনাইতে তিনদিনব্যাপী মাহফিল শুরু হয়। আয়োজকরা জানান, এবারের মাহফিলে ১০ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। জানাযা শেষে তাদের মরদেহ যার যার বাড়িতে পাঠানো হয়। এবার মাহফিলে ৪ জন অমুসলিম পীরের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চরম ন ই
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের সকালে রোগী, নার্স ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে টিম খোরশেদ’র শুভেচ্ছা বিনিময়
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন সকালে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ঈদের দিন ভর্তি থাকা রোগী,নার্স ও পরিবার পরিজনের বন্ধন ছেড়ে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে পুষ্টিকর প্রাত:রাস (নাস্তা-দুধ, জুস, বিস্কুট ও কেকের বক্স) বিতরণ করে মানবিক সংগঠন টিম খোরশেদ।
ঈদের নামাজ শেষে টিম খোরশেদ এর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ প্রথমে হাসপাতালের রোগী ও নার্স ও পরে রাস্তায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে নাস্তা বিতরণ করে।
টিম খোরশেদ এর দলনেতা সাবেক সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আমরা আসলে দূর্গত মানুষ ও নাগরিক সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের আনন্দে অংশ নিয়ে হাসি ফুটানোর জন্যই আমাদের সকল কার্যক্রম।