সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে উত্তরা গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্যোগে আয়োজিত কার্নিভাল ‘গ্লেনফেস্ট’। উপভোগ্য এ আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দর্শনার্থীরা। 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গ্লেনরিচ উত্তরা সিনিয়র ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উত্তরার অধ্যক্ষ ড.

অম্লান কে, সাহা। তিনি উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং কমিউনিটির সাথে সম্পৃক্ততার প্রতি স্কুলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, ‘‘গ্লেনফেস্ট শুধুমাত্র একটি কার্নিভালই নয়; এ উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরেও শেখার মানসিকতা গড়ে তোলার প্রয়াসের প্রতিফলন। সবার অংশগ্রহণে এবারের আয়োজনও দারুণভাবে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি, ঢাকার সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ তৈরি করছে। সবার উচ্ছ্বাস ও প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ দেখে আমরা আনন্দিত। তারা সবাই এ আয়োজন উপভোগ করেছেন।’’

উৎসবে অতিথিদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় নানা আয়োজন, যথা: রিং টস, টিন ক্যান অ্যালি, বটল নকডাউন, বল ইন এ বাকেট, আর্চারি ফান, কয়েন টস, নাগরদোলা, ঘোড়ার গাড়ি, ডল ক্যাচার, জঙ্গল জাম্পার, বাস্কেটবল শ্যুটার, মিনি ট্রেন, বাবল হাউস ও ক্যাচ দ্য স্টিক। 

এ ছাড়াও, গ্লেনফেস্টে দেশীয় হস্তশিল্প, বই, কনফেকশনারি, পোশাক ও বাহারি খাবারের স্টলও ছিল। কার্নিভালে টেক অ্যাকাডেমির ব্যবস্থাপনায় রোবটিক শোর আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রোবোটিক্স ও অ্যানিমেশন শো ছাড়াও এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিল নৃত্য, তাকি ইয়াসির নির্ঝরের সংগীত পরিবেশনা এবং মাঠের মধ্যে স্নোফ্লেক ডিসপ্লে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এক প্রাণের আনন্দোৎসবে।

গ্লেনফেস্ট আয়োজনে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিল ইউনাইটেড হেলথকেয়ার। কো-স্পন্সর হিসেবে ছিল এক্সেলেন্স কনসালট্যান্টস, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে আইবিডি পার্টনারশিপ গ্রুপ ও লংকাবাংলা এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে আয়োজনে যুক্ত ছিল প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নাম বদলাতে পারে মঙ্গল শোভাযাত্রার

বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নতুন নামের বিষয়ে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। সব জাতিসত্তার অংশগ্রহণে এবারের শোভাযাত্রায় নতুন রং, গন্ধ ও সুর পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে, এতে সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখা যাবে। এই শোভাযাত্রা হবে বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো– প্রত্যেকের। এ জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি প্রথমে আনন্দ শোভাযাত্রা নামে শুরু হয়েছিল। পরে হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে সবাই যদি একমত হয়, তবে আবার নাম পরিবর্তন হতে পারে। এবারের শোভাযাত্রাটি আর বাঙালিদের শোভাযাত্রা না। কেন্দ্রীয়ভাবে এটিকে ডাকা হবে, যে নামে সবাইকে একটা ছাতার মধ্যে আনা যায়। 

মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন,  ‘ইউনেস্কো আগামীবার জানবে এ শোভাযাত্রা আরও বড় হয়েছে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ইউনেস্কোর এটাতে খুশি হওয়ার কারণ হবে, আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমরা বরং এতদিন অনেকগুলো জাতি-গোষ্ঠীকে মাইনাস করে এসেছিলাম। এটাকে সংশোধন করছি।’ অনুষ্ঠানটি পুনর্বিবেচিত হয়েছে, তাই এর নামটিও পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন আয়োজন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে রক কনসার্ট হচ্ছে। যেখানে চাকমা, গারো, মারমা ও বাংলা ব্যান্ড– সবাই পারফর্ম করবে। এ ছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বাউল ও ফকিররা গান গাইবেন। ওদের একটা উৎসব হবে সেখানে। ১৪ এপ্রিল সংসদ ভবনের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শোর আয়োজন করা হবে। চীনের দূতাবাসের সহযোগিতায় ড্রোন শো হবে।‌ বিকেলে গান শুনবেন, সন্ধ্যার পর দেখবেন সংসদ ভবনের ওপর বাংলার আকাশের ড্রোন দিয়ে কিছু ইমেজ তৈরি করা হচ্ছে।’ 

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এবার ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সুরের ধারার গানের অনুষ্ঠান হবে। মেলার মতো আয়োজনও সেখানে করা হবে। ঢাকার নানান জায়গায় উৎসব ছড়িয়ে যাবে। সূর্যাস্তের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে– এবার আমাদের নির্দেশনা এটা না। কোন অনুষ্ঠান কখন শেষ হবে, সেটা স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা ঠিক করে নেবে।’ তিনি জানান, এবার প্রতিটি জেলা ও উপজেলার জন্য বরাদ্দ দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি যে জেলাগুলোতে ভিন্ন ভাষাভাষী লোকজন আছেন, সেগুলোতে বরাদ্দ আরও বেশি হবে।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, নববর্ষের আয়োজন নিয়ে কাল (আজ) বৈঠক হবে। নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। ঈদের ছুটি শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদ আনন্দ উৎসব আয়োজন করছে ডিএনসিসি
  • ‘কন্যা’র পর নুসরাত ফারিয়া-সজলের ‘ব্যবধান’
  • বৈশাখের উৎসবে রঙ বাংলাদেশ
  • নাম বদলাতে পারে মঙ্গল শোভাযাত্রার
  • অচেনা ফোনকলে ঝুঁকি!
  • উৎসবে ডিজিটাল ক্যানভাস
  • মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে, জানালেন উপদেষ্টা ফারুকী
  • এ বছর জাতীয়ভাবে নববর্ষ পালন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে