ঝিনাইদহে ১ হাজার রোগীকে বিনামূলে স্বাস্থ্যসেবা দিল আদ-দ্বীন হাসপাতাল
Published: 22nd, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুরে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে চক্ষু, দন্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজ মাঠে দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১ হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন এবং শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন বাবর ফিরোজ। আরো উপস্থিত ছিলেন আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিয়াজ, আদ-দ্বীন চক্ষু প্রকল্পের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
ডা. শেখ মহিউদ্দিন বলেছেন, “স্বাস্থ্যসেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আদ-দ্বীন নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা সেবার মাধ্যমে স্রষ্টার কাছে যেতে চাই। আপনাদের সেবা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের সেবার কথা অন্যদের জানিয়ে সকলকে সেবা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিন। সেটাই আমাদের স্বার্থকতা।”
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আদ-দ্বীন স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করছে। দেশের নানা দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি আদ-দ্বীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনসহ অন্যান্য সেবা পেয়ে মানুষ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে। তাদের জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত থাকুক, এটাই প্রত্যাশা।”
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠানে ৭ দেশের কবি
তারা ভিন দেশের নাগরিক। কবিতা পাঠ করলেন নিজ নিজ ভাষায়। জানালেন তাদের অনুভূতিও। আবার সেই কবিতা আর অনুভূতির মর্মার্থ ইংরেজিতে বুঝিয়েও দিলেন সবাই।
শুক্রবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘সার্ধশততে একুশের দ্রোহ’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠান হয়। এর আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, কাজাখিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।
বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাপানি নাগরিক মাছিকো ফুকোমারা বলেন, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা অনেক আনন্দের। স্কুল দেখে আমি আমার নিজের দেশ, বাড়ি, শৈশব ও নিজের ভাষাকে মনে পড়ছে। তিনি জানান, এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন।
নাইজেরিয়ান নাগরিক হাওয়া হাসান কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এখানে আমরা অনেক ভাষাভাষী মানুষ একসঙ্গে হয়েছি, এটা খুব ভালো লাগছে।
ফিলিপাইনের নাগরিক হেলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই আছেন বাংলাদেশে। তিনি বলেন, কথা বলতে পারার স্বাধীনতা অনেক বড় বিষয়। অনেক আনন্দের।
ইসাবেল সুয়োরাজ কলম্বিয়ান নাগরিক। এই আয়োজনে এসে তিনি শিশু বয়সে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার স্কুলের সময়ের কথা মনে পড়ছে।
কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বিদেশিদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে খালেদ মোশাররফ, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তার নেতৃত্বে কক্সবাজার হাইস্কুলের ছাত্ররা ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়।
বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের অংশ হিসেবে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের কথা জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সংগঠক ইয়াসির আরাফাত জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসেই তাদের কর্মসূচি থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।