ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুরে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে চক্ষু, দন্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজ মাঠে দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১ হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

আসাদুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন এবং শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন বাবর ফিরোজ। আরো উপস্থিত ছিলেন আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিয়াজ, আদ-দ্বীন চক্ষু প্রকল্পের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

ডা. শেখ মহিউদ্দিন বলেছেন, “স্বাস্থ্যসেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আদ-দ্বীন নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা সেবার মাধ্যমে স্রষ্টার কাছে যেতে চাই। আপনাদের সেবা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা আমাদের সেবার কথা অন্যদের জানিয়ে সকলকে সেবা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিন। সেটাই আমাদের স্বার্থকতা।”

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আদ-দ্বীন স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করছে। দেশের নানা দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি আদ-দ্বীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনসহ অন্যান্য সেবা পেয়ে মানুষ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে। তাদের জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত থাকুক, এটাই প্রত্যাশা।”

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আজও গোবিন্দগঞ্জে যানবাহনের ধীরগতি

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জের চার রাস্তা মোড়ে শনিবার দিনভরই থেমে থেমে যানজট ও  ধীরগতি দেখা গেছে। সওজের সাসেক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের পাশাপাশি ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী দূর ও স্বল্পপাল্লার বাস থেকে যাত্রী যত্রতত্র উঠা-নামায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সেনাবাহিনী, ট্র্যাফিক ও হাইওয়ে পুলিশসহ আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন। তবে পরিবহন চালকরা নিয়ম না মেনে যাত্রী উঠা-নামা করায় কৃত্রিম যানজট ও ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে। 

গোবিন্দগঞ্জ চার রাস্তা মোড়ে পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর ওসমান আলী জানান, সওজের কাজের কারণে রাস্তায় এমনিতেই সরু। তার ওপর যত্রতত্র যানবাহন থেকে যাত্রী উঠা-নামায় অল্প সময়ের জন্য যানবাহনের ধীরগতি হলেও শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য কোনো ধরনের যানজট ধীরগতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হচ্ছে না।

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে গত সাড়ে আট বছর থেকে সওজের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের কাজ চলছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ মোড়ে এখনও কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এতে ঈদের আগে এই দুই স্থানেই বেশি জটলা বাঁধছে। 

সওজের সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, সাড়ে আট বছর আগে কাজ শুরু হলেও মূলত জোরেশোরে শুরু হয় করোনা শেষে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। ভূমি অধিগ্রহণ কাজের জটিলতার জন্য গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে কাজ শুরু করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ইনশাল্লাহ পুরো কাজ হবে। আগামী বছর থেকে চার রাস্তা সম্প্রসারণ সুফল উত্তরাঞ্চলবাসীর পুরোপুরি ভোগ করতে পারবে।

গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন বলেন, হাইওয়ের কাজ করছে সাসেক-২ প্রকল্প। তাদের কাজ এখনও চলমান। আমাদের কাছে সড়ক বুঝিয়ে দেওয়ার পর রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনাসহ সড়কের সার্বিক দেখভাল করবে গাইবান্ধা সড়ক বিভাগ। 

বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের এসপি (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ঢাকা রংপুর মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ-বগুড়া অংশে শনিবার দুপুর পর্যন্ত যানজট হয়নি। বরং ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন দুই লেন দিয়েই স্বাভাবিকভাবে চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ