ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি ঘর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, চড়পাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন ও আতিয়ার রহমানের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আজ দুপুরে আতিয়ার রহমানের সমর্থক সুমন মাঠের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন, প্রতিপক্ষ সেলিম হোসেনের লোকজন তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হন অন্তত আটজন। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিরা। পরে আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, নারী নিহত

কুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হল খোলা, তদন্ত শুরু

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‍“গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মারামারিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাসের সুমাইয়ার পৃথিবীজুড়ে শূন্যতা

তিন মাসের সুমাইয়ার পৃথিবীজুড়ে শূন্যতা, একরাশ হাহাকার। মা-বাবা বেঁচে নেই তার। আদর-স্নেহ বুঝে ওঠার আগেই পৃথিবী ছাড়লেন তারা। বছর চারেকের বড় ভাই সোয়ায়েদও আগুনে দগ্ধ। ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে ছোট্ট শিশুটি।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে সারা বাসায়। আতঙ্কে প্রাণে বাঁচতে অন্যদের মতো ছোটাছুটি করছিল পোশাককর্মী সুমন মিয়ার পরিবারও। তিন মাসের সুমাইয়া তখনও ঘুমে। সুমন তাঁর দুই সন্তান নিয়ে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যান। এই ঘটনায় ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন আটজন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবার বাড়ি শরীয়তপুরে।

আগুনে সুমাইয়ার শরীরের ৭ শতাংশ ঝলসে গেছে। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। 

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়ার মা শারমিন মারা যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, ৪২ শতাংশ পোড়া নিয়ে শারমিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর অবস্থা আগে থেকেই জটিল হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। বুধবার সকালেও অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। 

এর আগে গত রোববার ভোরে সুমাইয়ার চাচি শিউলি আক্তার এবং দুপুরে তার বাবা সুমন মারা যান। 

এই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুমাইয়ার। বার্ন ইনস্টিটিউটের পাঁচতলার ৫২০ নম্বর শয্যায় ভর্তি রয়েছে সে। ক্ষুধা পেলেই কাঁদছে শিশুটি। নিরুপায় স্বজন শিশুটির কান্না থামাতে সুমনের সহকর্মী রাশেদের স্ত্রী শারমিন সুলতানার বুকের দুধ দিচ্ছেন। শুধু সুমাইয়াকে দুধ খাওয়ানোর জন্য তার পাশের শয্যায় শুরু থেকেই আছেন তিনি।

শারমিন সুলতানা সমকালকে বলেন, আমার নিজেরও একটা আট মাসের সন্তান রয়েছে। সন্তানের কষ্ট আমি বুঝি। বুকের দুধের অভাবে শিশুটি কষ্ট পাবে– এটি মেনে নিতে পারছিলাম না। স্বামীর সহকর্মী দগ্ধ হওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে এসেছি।

বার্ন ইনস্টিটিউটে এখনও আটজনের চিকিৎসা চলছে। তারা হলেন– জহুরা বেগম (৭০), মনির হোসেন (৪৫), সূর্য বানু (৫০), সোহেল মিয়া (৩৮), শামিম (১৫), মাহাদী (৭) ও সোয়ায়েদ (৪)। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাউজানে দুটি কারে চড়ে আসে অস্ত্রধারীরা, দোকানিকে গুলি
  • তিন মাসের সুমাইয়ার পৃথিবীজুড়ে শূন্যতা