সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরভোগ গ্রামে শিরনি বিতরণ নিয়ে মতবিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার সকাল দশটার দিকে এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন।

স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরভোগ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মান্নান সমর্থক আব্দাল মিয়া ও সুফি মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা নুর মিয়া ও বিএনপি নেতা আশিক মিয়া এই চারজনের নেতৃত্বে গ্রাম দুইভাগে বিভক্ত। তারা দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের লড়াই করছেন। শুক্রবার নুর মিয়া-আশিক মিয়ার গ্রুপ গ্রামে শিরনি বিতরণের আয়োজন করেন। তবে সেখানে আব্দাল মিয়া-সুফি মিয়ার লোকজন যাননি। তারা শনিবার একইস্থানে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিরনির আয়োজন করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত হন।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী শনিবার দুপুরে সমকালকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত স ন মগঞ জ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”

তিনি আরো বলেন,  হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।

হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ