তরুণ গায়ক শেখ সাদীকে নিয়ে নতুন করে আলোচনায় চিত্রনায়িকা পরীমণি। দুজনের পরিচয় কয়েক বছরের হলেও সম্প্রতি আদালত চত্বরে পরীমণীর সঙ্গে দেখা যায় শেখ সাদীকে, যেমনটা এর আগে দেখা যায়নি। এরপর থেকে তাদের নিয়ে শুরু নানা আলোচনা। 

এছাড়া দুই সন্তানকে নিয়ে সিংগেল মাদারের দায়িত্ব যেন এখন তার গুরুদায়িত্ব, তা বলার বাকি রাখে না।

তবে এত দায়িত্ব আর কাজের মাঝেও একাকীত্ব যেন ঘিরে ধরেছে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে। ঠিক এমনই আভাস দিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ঢালিউড নায়িকা। সেই পোস্টে আবার পাওয়া গেল পরীমণির অসুস্থতারও ইঙ্গিত।

পরী সেই পোস্টে লেখেন, ‘এই একজীবন যে কত অভিজ্ঞতা! একা একজন হয়ে ১০০ জনের কাজ বা দায়িত্ব সামলানো কি যে নিদারুণ সুন্দর! আপনি ভাববেন, এই তো কত মানুষ আছে আপনার কাছে, আপনি যেমন থাকেন সবার হয়ে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, শুধু একবার অসুস্থ বা কোনো কারণে কাউকে ভীষণ প্রয়োজন হয়ে উঠুক আপনার, ঠিক তখনই দেখবেন আপনি একা, একদমই একা।’

পরীমণি লেখেন, ‘প্রত‍্যেকটা মানুষের এই জীবনে এই সময়টা আসা দরকার। যত তাড়াতাড়ি আসবে আর আপনার এমন উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি হবে ততই ভালো। আপনার ভালো সময় উদযাপন বা উপভোগের লোকের যেমন অভাব পরে না, ঠিক তেমনি আপনার নিজের দরকারে আপনি আপনার একাই সব- এটা বুঝে যাওয়া জীবনের সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার।’

পরীমণি আরও লেখেন, ‘এখানে একটা বার আপনি উতরে গেলেন, তো কে ঠেকায় আপনাকে আর?’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠানে ৭ দেশের কবি

তারা ভিন দেশের নাগরিক। কবিতা পাঠ করলেন নিজ নিজ ভাষায়। জানালেন তাদের অনুভূতিও। আবার সেই কবিতা আর অনুভূতির মর্মার্থ ইংরেজিতে বুঝিয়েও দিলেন সবাই। 

শুক্রবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘সার্ধশততে একুশের দ্রোহ’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠান হয়। এর আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।  

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, কাজাখিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাপানি নাগরিক মাছিকো ফুকোমারা বলেন, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা অনেক আনন্দের। স্কুল দেখে আমি আমার নিজের দেশ, বাড়ি, শৈশব ও নিজের ভাষাকে মনে পড়ছে। তিনি জানান, এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন। 

নাইজেরিয়ান নাগরিক হাওয়া হাসান কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এখানে আমরা অনেক ভাষাভাষী মানুষ একসঙ্গে হয়েছি, এটা খুব ভালো লাগছে।

ফিলিপাইনের নাগরিক হেলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই আছেন বাংলাদেশে। তিনি বলেন, কথা বলতে পারার স্বাধীনতা অনেক বড় বিষয়। অনেক আনন্দের।

ইসাবেল সুয়োরাজ কলম্বিয়ান নাগরিক। এই আয়োজনে এসে তিনি শিশু বয়সে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার স্কুলের সময়ের কথা মনে পড়ছে। 

কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে। 

তিনি বলেন, বিদেশিদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজন।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে খালেদ মোশাররফ, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তার নেতৃত্বে কক্সবাজার হাইস্কুলের ছাত্ররা ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়। 

বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের অংশ হিসেবে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের কথা জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সংগঠক ইয়াসির আরাফাত জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসেই তাদের কর্মসূচি থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ