রাজধানীর উত্তরার সড়কে প্রকাশ্যে দুজনকে কোপানোর মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের আরো তিন সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন— মো. আলফাজ মিয়া ওরফে শিশির (২২), সজীব (২০) এবং মেহেদী হাসান সাইফ (২৪)।

এদিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক মো.

দ্বীন ইসলাম। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ১৮ ফেব্রুয়ারি মোবারক হোসেন ও রবি রয়কে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে উচ্চশব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছিল। এসময় রিকশা থেকে দুজন (মকবুল ও ইফতি) প্রতিবাদ করেন। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জনকে জড়ো করেন এবং তাদের প্রকাশ্যে কোপায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সা‌বেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা

প্রায় ৯০ লাখ টাকার অ‌বৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৬ কোটি ৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের  অ‌ভি‌যো‌গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সা‌বেক মন্ত্রী ও সা‌বেক সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদের বিরু‌দ্ধে মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

বুধবার মামলা‌টি দা‌য়ের ক‌রেন দুদ‌কের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম। বিকা‌লে রাজধানীর সেগুনবা‌গিচা কার্যাল‌য়ে নিয়‌মিত প্রেস ব্রিফিং-এ দুদ‌কের মহাপ‌রিচালক আক্তার হো‌সেন এ তথ্য জানান।

তি‌নি ব‌লেন, ‘‘এম‌পি ও মন্ত্রী থাকাক‌লে ইমরান আহ‌মেদ ক্ষমতার অপব্যবহার ক‌রে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ ক‌রে‌ছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অ‌ভি‌যোগ আনা হ‌য়ে‌ছে।’’

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, ইমরান আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখা এবং নিজের নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে (৬ আগস্ট, ২০০৮ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) মোট ৬ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

নঈমুদ্দীন/ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ