ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার দিন এএসআই আতিকুজ্জামান ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন।

জানা যায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় এসে বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসারকে অবহিত করেন। কয়েক মিনিট পর তার চলে গেলেও ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার কোনো তথ্যই রাখেননি। যে কারণে ঘটনার তিনদিন পর ভুক্তভোগী বাসযাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এই ঘটনায় শুক্রবার টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। রাতেই তাকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

দোকানে চুরি, দেরিতে আসায় পুলিশের মাথা ফাটালেন মুদি দোকানি

গাজীপুরের শ্রীপুরে দোকানে চুরির ঘটনার পর ঘটনাস্থল পৌঁছাতে দেরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন এক মুদি দোকানি। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার পর সকালেই অভিযুক্ত মুদি দোকানিকে আটক করা হয়েছে।
 
আহত আবুল হোসেন (৩৫) পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। তিনি শ্রীপুর থানার মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। অভিযুক্ত মুদি দোকানির নাম মো. রাশেদ (২৭)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার শৈলাট গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে।

শৈলাট বাজারে তাঁর মুদি দোকান রয়েছে। এ ঘটনায় এএসআই আবুল হোসেন বাদী হয়ে আজ দুপুরে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ জানান, আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সমস্যা জেনে ব্যবস্থা নিতে বলেন। ফোন করলে রাতে দোকানে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী রাশেদ।

পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের এএসআই আবুল হোসেনসহ পুলিশের দুই সদস্যকে পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের ওই দলটি সেখানে পৌঁছার পর দেরির কারণ জানতে চান রাশেদ। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ওই ব্যবসায়ী লোহার শিকল দিয়ে আবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করেন। এতে আবুল হোসেনের মাথা ফেটে যায়।

খবর পেয়ে মাওনা ফাঁড়ি থেকে পুলিশের আরেকটি দল সেখানে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় এএসআই আবুল হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘ওই মুদি ব্যবসায়ী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ ফোন করে দোকানে চুরির অভিযোগ করেছিলেন। তবে পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত করে চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানতে পারে। ওই সময় মুদি ব্যবসায়ী দেরি করে পুলিশকে ঘটনাস্থল পৌঁছার কারণ জানতে চান, এক পর্যায়ে হামলা চালান। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রাশেদকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দোকানে চুরি, দেরিতে আসায় পুলিশের মাথা ফাটালেন মুদি দোকানি