ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদারের দায়িত্ব পালন করছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের একাকীত্ব ও দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন পরীমণি। ফেসবুকে দেওয়া সেই পোস্টে পাওয়া গেল পরীমণির অসুস্থতারও ইঙ্গিত! বোঝাতে চাইলেন, এমন মুহূর্তে অন্তত কাউকে পাশে রাখার প্রয়োজন পড়ে!

পরী লিখেছেন, ‘‘এই একজীবন যে কত অভিজ্ঞতার! একা একজন হয়ে ১০০ জনের কাজ বা দায়িত্ব সামলানো কি যে নিদারুণ সুন্দর! আপনি ভাববেন, এই তো কত মানুষ আছে আপনার কাছে, আপনি যেমন থাকেন সবার হয়ে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, শুধু একবার অসুস্থ বা কোনো কারণে কাউকে ভীষণ প্রয়োজন হয়ে উঠুক আপনার, ঠিক তখনই দেখবেন আপনি একা, একদমই একা।’’

পরীমণি আরো লিখেছেন, ‘‘প্রত‍্যেকটা মানুষের এই জীবনে এই সময়টা আসা দরকার। আপনার এমন উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি হবে তত ভালো। আপনার ভালো সময় উদযাপন বা উপভোগের লোকের যেমন অভাব পড়ে না, ঠিক তেমনি আপনার নিজের দরকারে আপনি আপনার একাই সব- এটা বুঝে যাওয়া জীবনের সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার।’’

‘‘এখানে একটা বার আপনি উতরে গেলেন, তো কে ঠেকায় আপনাকে আর?’’ 

অভিনয়ের পাশাপাশি এখন ব্যবসায় মন দিয়েছেন পরীমণি। মূলত মা ও শিশুদের প্রয়োজনীয় সব পণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। সঙ্গে ফেসবুকে করছেন নিয়মিত প্রচারণা।

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচিত সরকারের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ 

ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, ‘‘(বাংলাদেশের) প্রশাসনের সঙ্গে (ভারতের) সম্পর্ক কেমন হবে, তা নির্ভর করবে সেখানে নির্বাচিত সরকার আছে কি না, তার ওপর।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন কেমন হবে, এ বিষয়ে আমার অবস্থান হলো—যখন সেখানে একটি নির্বাচিত সরকার থাকবে, তখনই বলা যাবে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত।’’

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জেনারেল দ্বিবেদী এসব কথা বলেন। 

তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সামরিক সম্পর্ক খুবই দৃঢ় বলে জানান জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ‘‘সামরিক সম্পর্ক খুবই মজবুত। আমরা যখনই চাই, তখনই মতবিনিময় করতে পারি। আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।’’

এএনআই ভারতের সেনাপ্রধানের কাছে জানতে চান, সম্প্রতি, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্মকর্তারা ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছাকাছি, বিশেষ করে বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের চিকেন’স নেক এলাকার সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে উদ্বেগ আছে কি?

জবাবে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীয় বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি একটি নির্দিষ্ট দেশ (পাকিস্তান) প্রসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম। এখন সেই দেশের লোকেরা যদি অন্য কোথাও যায় এবং তারা আমাদের প্রতিবেশী হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকব। কারণ, তাদের ওই মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসীদের পাঠানোর সুযোগ থাকা উচিত নয়। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি।’’

কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা পাকিস্তান এখনো বুঝতে পেরেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল দ্বিবেদী মজার ছলে বলিউডের ‘গাইড’ সিনেমার একটি উদাহরণ টানেন। যেখানে এক পাগল বলেছিল, ‘‘আমি খাওয়া ছেড়ে দেব, যতক্ষণ না বৃষ্টি হয়।’’

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘‘দেখুন, তারা (পাকিস্তান) তাদেরই বলা কথার ফাঁদে আটকে গেছে। দেব আনন্দজির একটা সিনেমা আছে, আমার মনে হয়, (আরকে) নারায়ণের লেখা বই থেকে এটি তৈরি হয়েছে। সিনেমার শেষের দিকে দেব আনন্দজি যখন সাধু হয়ে যান, তখন এক পাগল ঘোষণা দেয় যে, যতক্ষণ না বৃষ্টি হয় ততক্ষণ সে না খেয়ে থাকবে। এখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একবার বলেছিল যে, তাদের এটা করতেই হবে। এখন তাদের জন্য আর বেরিয়ে আসার কোনো পথ নেই। তাই তারা একই পথে এগিয়ে যাবে—কাশ্মীর এবং কাশ্মীর। এটিই প্রথম বিষয়।’’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘দ্বিতীয়ত, যদি আপনি রবার্ট কাপলানের লেখা রিভেঞ্জ অব জিওগ্রাফি বইটি পড়েন, তাহলে দেখবেন, সিন্ধু নদের দুই পাশ কি কখনো এক হতে পারে? এটি একটি বড় প্রশ্ন, যা গভীরভাবে বিবেচনা করা দরকার। পাকিস্তানের এজেন্ডা শুধু কাশ্মীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা সব সময়ই ভারতবিরোধী মনোভাব উসকে দিচ্ছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ধারণাটাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিষয়টি কেবল কাশ্মীরেই সীমাবদ্ধ নয়। পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে এমন একটি সাধারণ এজেন্ডা থাকতে হবে, যা তাদের সবাইকে একত্রে ধরে রাখতে পারে। ভাষা কি এক? জনগণ কি একই রকম? কী মিল আছে? একমাত্র মিল হচ্ছে ভারতবিরোধী মনোভাব। তাই তারা সব সময় কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসবে এবং বারবার এটি নিয়ে প্রচার চালাবে।’’

ঢাকা/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচিত সরকারের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’