মিরপুরে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নিতে চেয়েও পারেননি। এরপর বিপিএলে চিটাগং কিংস তাঁকে দলে নিলেও খেলাতে পারেনি। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশেই ফিরতে পারেননি তিনি। এর বাইরে মাঠের ক্রিকেটে আছে বোলিং-নিষেধাজ্ঞাও।
এত প্রতিকূলতা আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই আজ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ককে দলে ভিড়িয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ক্লাবটির আশা, আগামী মাসে শুরু প্রিমিয়ার লিগে সাকিবকে পাওয়া যাবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর এখনো দেশে ফেরেননি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাঁর নামে হত্যা মামলা রয়েছে। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে ঢাকায় ফিরতে চাইলেও ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি’র কারণে দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এর মধ্যে অ্যাকশন পরীক্ষায় নিষিদ্ধ হয়ে খেলার মাঠেও সক্ষমতা অর্ধেক কমে যায় তাঁর।
সব মিলিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অনিশ্চয়তার মুখে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সাকিবের দলবদল সম্পন্ন হয়েছে আজ। দলবদলের প্রথম দিনে অনলাইনে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব। গত আসরে সাকিব খেলেছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে।
সাকিব যেখানে দেশেই ফিরতে পারছেন না, তাকে দলে নেওয়ার কারণ কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে রূপগঞ্জের মালিক লুৎফুর রহমান বাদল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা ক্রিকেটার সাকিবকে দলে নিয়েছি, রাজনীতিবিদ সাকিবকে নয়। সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক নম্বর ব্র্যান্ড, আমরা এ জন্য তাকে নিয়েছি।’
দলে নিলেও শেষ পর্যন্ত তাকে খেলাতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের জন্য আমরা এক শ ভাগ করব যদি কিছু করার থাকে। আমরা আশাবাদী তাকে প্রিমিয়ার লিগে পাওয়া যাবে।’
এবারের প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে। তার আগে দলবদল চলবে আজ ও আগামীকাল। ক্রিকেটারদের অনলাইন ও অফলাইন দুইভাবেই রেজিস্ট্রেশন করানো যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপিএলে সাকিবের নাম, দেশে ফিরছেন টাইগার অলরাউন্ডার?
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ওয়ানডে প্রতিযোগিতা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরু হচ্ছে ৩ মার্চ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আলোচনার কেন্দ্রে সাকিব আল হাসান। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দলবদলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে— তবে কি দেশে ফিরছেন এই তারকা অলরাউন্ডার?
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে এখনো দেশে ফেরেননি সাকিব। গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে চেয়েছিলেন এবং সেই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এরপর ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট খেললেও এরপর আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে।
সাকিবের দেশে ফেরার অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু বিতর্ক। বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরেননি তিনি। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক মামলা হয়েছে, এমনকি জারি করা হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা থাকলেও বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হওয়ায় সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে বোলিং পরীক্ষায় দু’বার ব্যর্থ হওয়ায় তাকে শুধু ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে নির্বাচকরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তাকে রাখেননি।
এতসব ঘটনার পরও ডিপিএলের দলবদলে সাকিবের নাম লেখানো নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরে টুর্নামেন্টে অংশ নেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।