দুপুর ৩টায় (২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মাঠে নামছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। লাহরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই মহারণের আগে চাপে আছে দুই দলই। নিজেদের শেষ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে এই দুই ক্রিকেট পরাশক্তি।

এদিকে টস জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করছে। স্মিথের মতে, “উইকেটটি বেশ ভালো মনে হচ্ছে। অনুশীলনের সময় কিছু শিশির পড়েছিল গতরাতে”। স্মিথ নিশ্চিত করেছেন যে ফর্মে থাকা অ্যালেক্স ক্যারি মিডল অর্ডারে খেলছেন।

অন্যদিকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার বলেছেন প্রথমে ব্যাটিংয়ে সমস্যা নেই তার। বাটলার বলেন, “ আমি টসে জিতলে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত ৫০-৫০ ছিল। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর খুবই আত্মবিশ্বাসী। মাঠে নামতে উদগ্রীব সবাই।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঘরের মাঠে হেরে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুলকে এগিয়ে দিল আর্সেনাল

শেষ তিন ম্যাচে দুটিতে পয়েন্ট হারিয়ে আর্সেনালকে কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দিয়েছিল লিভারপুল, কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হলো আর্সেনাল। ঘরের মাঠে লিগ ম্যাচে আজ শনিবার রাতে তারা হেরে গেল ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেডের কাছে। ১০ জনের আর্সেনাল শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও হেরেছে ১-০ গোলে। এ হারে শিরোপা লড়াইয়ের পথে বড় ধাক্কা খেল আর্সেনাল।

এমিরেটসে প্রথমার্ধেই জ্যারড বাওয়েনের গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। বিরতির পর অবশ্য ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করে তারা, কিন্তু যা মিলেছে তা শুধুই হতাশা। উল্টো ৭৩ মিনিটে মাইলেস লুইস-স্কেলি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যায় স্বাগতিকদের জন্য। ১০ জন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি মিকেল আরতেতার দল। মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হতাশাজনক এক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

এ ম্যাচ জিতলে লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানটা পাঁচে নামিয়ে আনতে পারত আর্সেনাল। সেটি না হওয়ায় এখন ব্যবধান আটই থাকল। এমনকি আগামীকাল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে লিভারপুল জিতলে

এ ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াবে ১১। বর্তমানে ২৬ ম্যাচে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬১। সমান ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৫৩। আর এ ম্যাচে জিতে চমক দেওয়া ওয়েস্ট হামের পয়েন্ট ২৬ ম্যাচে ৩০। তারা আছে ১৬ নম্বরে।

ঘরের মাঠে শুরু থেকে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও একেবারে স্বস্তিতে ছিল না আর্সেনাল। ওয়েস্ট হামের জমাট রক্ষণ ও সতর্ক অবস্থানের কারণে খুব একটা ফাঁকা জায়গাও পায়নি তারা। যে কারণে নিশ্চিত সুযোগও সেভাবে তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকেরা।

বিপরীতে ৫ জনের রক্ষণদেয়াল তৈরি করা ওয়েস্ট হাম চেষ্টা করছিল সুযোগ পেলে প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার। ওয়েস্ট হামের সংগঠিত ও কৌশলী ফুটবলের কারণে বারবার হতাশ হতে হয়েছে আর্সেনালকে। সে হতাশা দ্বিগুণ হয়েছে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল খেয়ে বসলে। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে বাওয়েনের গোলে অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট হাম। এ গোলের কারণে পিছিয়ে থাকার যন্ত্রণা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় আর্সেনালকে।

বিরতির পর সমতায় ফিরতে আগ্রাসী ফুটবল খেলার চেষ্টা করে আর্সেনাল। গানারদের অলআউট ফুটবলের সুযোগ নিয়ে ওয়েস্ট হাম চেষ্টা করছিল প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার। তেমনই এক আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে গোল করার মতো অবস্থায় থাকা ওয়েস্ট হাম মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কুদুসকে ফেলে দেন আর্সেনালের লুইস-স্কেলি। প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের বাকি সময় একজন কম নিয়ে জোর চেষ্টা করেছে আর্সেনাল, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি। মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়েই।

এর আগে রাতের অন্য ম্যাচে দুই গোলে পিছিয়ে গিয়েও কোনোরকমে ২-২-এ ড্র করে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিন ৩৩ মিনিটের মধ্যে বেতো ও আবদোলাই দুকুরের গোলে এগিয়ে যায় এভারটন। দুই গোলে পিছিয়ে যাওয়া ইউনাইটেডের আরেকটি হার মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার, কিন্তু তখনই দারুণভাবে ফিরে আসে রোবেন আমোরিমের দল।

৭২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও ৮০ মিনিটে ম্যানুয়েল উগার্তে গোল করে সমতায় ফেরান ইউনাইটেডকে। ফলে হারতে থাকা ম্যাচে কোনোরকমে ড্র করে মাঠ ছাড়ে ‘রেড ডেভিল’রা। এ ড্রয়ে ২৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরেই থাকল ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে ১৪ নম্বরে এভারটন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ