শরীয়তপুরের জাজিরায় বন্যপ্রাণী থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য নিজেদের তৈরি বৈদ্যুতিক ফাঁদেই প্রাণ হারিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। শনিবার সকালে উপজেলার বালিয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস খাঁ সম্প্রতি তার বাড়ির অদূরে একটি জমিতে ভুট্টা চাষ করছিলেন। জমির ফসল বাঁচাতে তিনি তারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেন, যাতে বন্যপ্রাণী- বিশেষ করে সজারু যেন শস্য নষ্ট করতে না পারে।

শনিবার সকালে জমিতে প্রবেশের আগে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই ইদ্রিস খাঁ ও তার স্ত্রী সেখানে যান। অসাবধানতাবশত ইদ্রিস খাঁ প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে শেফালী বেগমও  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে এবং পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানো না গেলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হলের ভুল বানান সম্বলিত একটি নিবন্ধন ফরমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছবিটি সামনে আসার পর থেকে এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ফরমে এত বড় ভুল কিভাবে হয় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে সিদ্দিকা ত্বহা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফরমের ছবি তুলে পোস্ট দেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এভাবেই কি আমরা শিখব?’

দেখা গেছে, ওই ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যায়’ এবং রাজশাহীকে লেখা হয়েছে ‘লাজশাহী’। এছাড়া নিবন্ধীকরণ বানানও ভুল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোছা. ইপ্তি আক্তার বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের যেকোন দাপ্তরিক নথিতে বাক্য ও বানানের ভুল মেনে নেওয়া যায়নি। হলের ফরমে খুব বেশি লেখা নেই। এ অল্প কিছু লেখায় যদি ৪-৫টা ভুল থাকে, তা সত্যি লজ্জাজনক।”

তিনি বলেন, “সবচেয়ে হতাশার বিষয় হলো- ‘বিসমিল্লাই গলদ’ করে রেখেছে। হল প্রশাসনকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত এসব বিষয়ে। হল প্রশাসনকে বলতে চাই, পরবর্তী সময়ে কোন নোটিস দিলে অবশ্যই যেন  যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হয়।”

রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইসমত আরা বেগম বলেন, “ছবিটি আমার নজরে এসেছে। তবে এখানে পুরো ছবিটা আসেনি। এখানে কেউ ইন্টেনশনালি আমাকে এবং আমার হলকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করেছে কি না- সেটিও দেখতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি, যদি এটি আমার হলের কোন ডকুমেন্ট হয়ে থাকে, অবশ্যই এটি সংশোধন করবো এবং সংশ্লিষ্ট স্টাফকে সতর্ক করব। হলের যেকোনো বিজ্ঞপ্তি অথবা ডকুমেন্টে বানানের বিষয়ে পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, “আমি মনে করি এগুলো সতর্কতার অভাব, সিরিয়াসনেসের অভাব। অনেক সময় ভুলবশত প্রিন্টিং মিস্টেক হয়ে যায়। এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে রিয়াদে বৈঠক করলেন আরব নেতারা
  • ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যা জানালো অধিদপ্তর
  • দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের আগুন
  • দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের ভয়াবহ আগুন
  • শিক্ষার্থীরা চাইলেন এক হলের নাম পরিবর্তন, প্রশাসন বদলাল ৮ হলের
  • ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শিবির’ নিয়ে যা বললেন ছাত্রদল সম্পাদক
  • সরকারকে ২ দিনের আলটিমেটাম রাবি শিক্ষার্থীদের
  • পরবর্তী সরকারকেও সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে
  • রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!