রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, নারী নিহত
Published: 22nd, February 2025 GMT
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক নারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তিওরকুড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা এ তথ্য জানান।
মারা যাওয়া নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (৫০)। তার স্বামীর নাম আবদুল জব্বার। নিহত নারী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের প্রতিবেশী ছিলেন।
আরো পড়ুন:
মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু
মাদক সেবনে নিষেধ করায় ২ যুবককে মারধর
সংঘর্ষ চলাকালে নিহতের স্বামী আববদুল জব্বারসহ আহত হয়েছেন ১০-১২ জন। তাদের মধ্যে জিন্নাত আলী নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থক। প্রতিবেশী মামুনুর রশিদসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা কয়েক দফা বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে আজ সকালে মামুনুর রশিদ তার লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। রিয়াজুল ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীরা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা বলেন, “হামলায় ফেরদৌসি বেগম গুরুত্বর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
ওসি আরো বলেন, “ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তারা ৫-৭ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত নারীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হুমকি না থাকলেও বর্ষবরণে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এ উৎসবকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূলসহ পুরো ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলি গলিতেও গোয়েন্দা নজরদারি করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
এদিকে, প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সারা দেশে র্যাবের সব সদস্য নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কাজ করছেন।
সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, র্যাব সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২৪৪৯ জন র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোন উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে কোনো ধরণের নাশকতার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।”
ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি জানান।
ঢাকা/এমআর/ইভা