গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে দুই বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার হিরণ্যকান্দি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহদৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬৩

যানজটে জামায়াত আমিরের গাড়িবহর, ছাড়াতে গিয়ে বাসচাপায় কর্মীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস বাসের চালক মন্টু শেখ (৫৫) এবং বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা ও বাসের সুপারভাইজার আরিফ হোসেন (৪০)।

এএসআই সাহদৎ হোসেন বলেন, ‍“খুলনা থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। হিরণ্যকান্দি এলাকার সাম্পান রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে থাকা সোহাগ পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দিয়ে গাছে ধাক্কা দেয় বাসটি। এসময় বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেলে ১২ জন আহত হন।” 

তিনি আরো বলেন, “স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসের চালক মন্টু শেখ ও সুপারভাইজার আরিফ হোসেনকে  চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।”

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সুব্রত সাহা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১২ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসাপাতালে আনার আগেই দুইজন মারা যান। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়

পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।

রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।

এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।

তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।

এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ