সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায়। শনিবারও (২২ ফেব্রুয়ারি) এই আইন জারি রয়েছে সেখানে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার মধ্যনগর থানা কর্তৃক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মধ্যনগর বাজারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আক্রমণ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে অপর পক্ষের লোকজন মধ্যনগর বাজারে অবস্থিত বিপক্ষ গ্রুপের একটি অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ নিয়ে যে কোনো সময়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতিসহ সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মধ্যনগর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। 

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি

১৪৪ ধারা জারি করায় অন্যস্থানে বিএনপির সমাবেশ

উল্লেখ্য যে, ১৪৪ ধারা জারিকৃত সময়ে উক্ত এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক লোকের একত্রে জটলা, সমাবেশ কিংবা যে কোনো ধরনের অস্ত্রবহন ও সন্দেহজনক ঘোরাফেরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান বলেন, ‍“মধ্যনগরের একটি ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষের নেতা শহিদ মিয়া গ্রেপ্তারকৃতকে নিজের কর্মী দাবি করে থানায় এসে শোরগোল শুরু করেন। পরে থানা থেকে বের হয়ে মিছিল করেন তিনি ও তার সমর্থকরা। এসময় তারা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈয়ুম মজনুর অফিস ভাঙচুর করেন। তখন দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমরা খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি।  পরে মজনুর লোকজন শহিদের অফিস ভাঙচুর করে।” 

তিনি আরো বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবার পরামর্শে বাজার ও আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৪৪ ধ র ১৪৪ ধ র ব এনপ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষ ও খুনের পর মিরসরাই বিএনপির তিন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত

সংঘর্ষ ও খুনের পর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত তিনটি কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারিয়ারহাট পৌরসভার তিনটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত বিএনপির কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশেষ একটি পক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এলাকায় জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একজন নিরীহ মানুষ হত্যার শিকার হন এবং ১৫ জন গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিরসরাইয়ের জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্যে অনুমোদিত তিন কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।

কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, কমিটির বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বসে ঠিক করা হবে। কমিটি গঠনের পর হত্যাসহ নানা নৈরাজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৮ মার্চ মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারিয়ারহাট বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন ঘোষিত বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে আবদুল আওয়াল চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও আজিজুর রহমান চৌধুরীকে সদস্যসচিব মনোনীত করা হয়। ঘোষিত এই কমিটির বিরোধিতা করে ২৫ মার্চ দুপুরে মিরসরাই উপজেলা সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারীরা। সেই ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিএনপির দুই পক্ষের এমন উত্তেজনা শুরু হলে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ফুল দিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কায় ২৬ মার্চ সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য মিরসরাই উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সেদিন বেলা ১১টায় মিছিল গণজমায়েত করে প্রশাসনের দেওয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে যান মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারীরা। এরপর উপজেলার বারিয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মইনুদ্দিন লিটনের বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মোহাম্মদ জাবেদ নামের এক যুবক নিহত হন। সংঘর্ষের সেই ঘটনায় বিএনপির আরও অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের নতুন নিরাপত্তাপ্রধান হিসেবে সাবেক নৌ কমান্ডারকে বেছে নিলেন নেতানিয়াহু
  • নেইমারের সঙ্গে বিতর্কে জড়ানো জেসুসই কি হচ্ছেন ব্রাজিলের কোচ
  • দেশজুড়ে ঈদের দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস যা বলছে
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড যেভাবে এল
  • তাহলে কে হচ্ছেন ব্রাজিলের কোচ
  • সংঘর্ষ ও খুনের পর মিরসরাই বিএনপির তিন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত
  • মায়ের সঙ্গে আর দেখা হলো না, বাড়ির কাছে এসে ডুবল নৌকা
  • সেনাবাহিনী নিয়ে নেতিবাচক চর্চা বিপজ্জনক
  • কুয়াকাটায় ৬ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা 
  • আশ্রয়দাতার শিশুসহ ৪ শিশুকে নিয়ে পালাচ্ছিলেন আদুরী, স্টেশনে ধরা