চাল সংগ্রহে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর
Published: 22nd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহের ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর। এ জন্য ব্যর্থ কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে। এর বাইরেও চাল সরবরাহে ব্যর্থ মিলারদের বিরুদ্ধে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে সাড়ে পাঁচ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে তিন লাখ ৮৭ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ৭১ হাজার ৯৬৫ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি), কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারের মজুতের বড় একটি অংশ আসে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান ও চাল কেনার মাধ্যমে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে সেদ্ধ চাল কেনা শুরু হয়েছে, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।
প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা ও ধান ৩৩ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এছাড়া ৪৬ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে আতপ চাল।
তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তা কিনতে পারছে না।
চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে চুক্তি না করা এবং চুক্তি করে চাল সরবরাহ না করা মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তাদের কাছে এর আগেও চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গা শিবিরে পানির সংকট তীব্র: এমএসএফ
কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১০ লিটার করে পানি পাচ্ছেন। এই পরিমাণ পানি জীবনধারণের প্রয়োজনের অর্ধেক। সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বলেছে, পানি সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) টেকনাফে চলমান এই সংকটের কথা বলেছে। পাশাপাশি এমএসএফ জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এসএমএফ বলেছে, উদ্বেগজনক হারে সংরক্ষণব্যবস্থা কমে আসায় পানির সংকট আরও কঠিন হয়েছে। টেকনাফ মূলত মজুদকৃত পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই বছর আশঙ্কাজনক হারে মজুদকৃত পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশে এমএসএফ-এর মিশন প্রধান আন্তোনিও কারাডোনা বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। টেকনাফে প্রতিদিন জনপ্রতি ১০ লিটার পানি পাওয়া যায়, যা একজন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ক্যাম্পজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নানা রোগের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব থেকেই এই সংকটের তীব্রতা স্পষ্ট।’
নূর আলম নামের একজন রোহিঙ্গা তাঁর কষ্টের কথা এমএসএফকে শুনিয়েছেন। নূর আলম বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে পানিসংকট তীব্র হতে দেখছি, এখানে সাহায্য–সহযোগিতাও অনেক সীমিত। অনেককেই বাধ্য হয়ে অনেক দূরে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি আনতে হয়, যা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষও।’
এমএসএফ বলেছে, জরুরি সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকা, প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহব্যবস্থা আরও উন্নত ও দ্রুত করার সুযোগ আছে। কলেরার মতো পানিবাহিত রোগসহ নানাধরনের চর্ম রোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমএসএফ একটি বোরহোল, একটি পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ সেবা শুরু করেছে এবং ক্যাম্পে ট্রাকের মাধ্যমে পানি সরবরাহ সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এই জরুরি পদক্ষেপগুলো যদিও এ সংকটের সাময়িক সমাধান দেয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী ও পর্যাপ্ত নয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও দাতাসংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই পানি সরবরাহে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ। পাশাপাশি দায়িত্বশীল অংশীদারদের কাছে জবাবদিহি ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা বলেছে তারা।