ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। একইসঙ্গে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৪২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.

১১ পয়েন্ট বা ০.০২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৯.২২ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.১৯ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ০.৯২ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬ পয়েন্টে।

আরো পড়ুন:

৬ মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৪৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১০৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৪৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টি কোম্পানির, কমেছে ২০৩টির ও অপরিবর্তিত আছে ৩৭ টির। তবে, ১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়নি।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১.৮৭ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৪৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.১৩ শতাংশ কমে ৯৪১ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৮৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২ হাজার ৪৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ম লধন ব ড় ছ ব জ র ম লধন ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

দরপতনের ধারায় শেয়ারবাজার

ঊর্ধ্বমুখী ধারায় লেনদেন শুরু হলেও মঙ্গলবারও ফের বড় দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। প্রায় ৬৪ শতাংশ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর হারিয়েছে। অন্যদিকে ২৪ শতাংশের দর বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ৩৭ পয়েন্ট। সূচকের এ পতন গত ১২ জানুয়ারির পর বা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত রোববারও ৩৫ পয়েন্টের বেশি হারায় এ সূচক। দুই দিনে কমেছে ৭৩ পয়েন্ট।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩০টি দর হারিয়েছে, বেড়েছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দর। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬টির কেনাবেচা হয়েছে। যার মধ্যে ২৪টির দর কমেছে এবং বেড়েছে সাতটির। আইডিএলসি সিকিউরিটিজের এমডি মো. সাইফুদ্দিন বলেন, যখন নতুন করে কোনো আশা থাকে না, তখন বাজার এ ধরনেরই আচরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপ স্থগিত হলেও বস্ত্র খাতের শেয়ার দর হারাচ্ছে। এ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এটি হতে পারে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কাগজ ও ছাপাখানা ছাড়া বাকি সব খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। তুলনামূলক বেশি দর হারিয়েছে বস্ত্র, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, পাট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি। পাঁচ খাতের লেনদেন হওয়া ৮৩ কোম্পানির মধ্যে ৬৬টির দর হারানোর বিপরীতে মাত্র ৯টির দর বেড়েছে। একক কোম্পানি হিসেবে প্রায় ১০ শতাংশ দর হারিয়ে পতনের শীর্ষে ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ। ৭ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে পরের অবস্থানে ছিল সোনারগাঁ টেক্সটাইল, এসকে ট্রিমস, এসকোয়্যার নিট, এসএস স্টিল এবং মিথুন নিটিং।
সার্বিক দরপতনের মধ্যেও ডিএসইতে শেয়ার কেনাবেচা প্রায় ৩২ কোটি টাকা বেড়ে ৪৪৬ কোটি টাকা ছাড়ায়। এর মধ্যে এককভাবে ২৪ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল ম্যারিকো বাংলাদেশ। ২১ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে পরের অবস্থানে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইএক্স ও ডিএসএমইএক্স সূচকে যুক্ত হয়নি নতুন সিকিউরিটিজ
  • শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
  • সমস্যা সবই জানা, সমাধানে মানসিকতার বদল জরুরি
  • পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
  • দরপতনের ধারায় শেয়ারবাজার