যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
Published: 22nd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ‘চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাকে সশস্ত্র বাহিনীর এ শীর্ষ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, চার্লস কিউ ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বিমানবাহিনীর (অব.
এদিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে এই ইস্যুতে একটি পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।
সেখানে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে ‘ভদ্রলোক’ ও ‘দারুণ নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আরও কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প লিখেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আমি আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগে সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্তের মাধ্যমে সেটির সূচনা করলেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: চ র লস ক উ ব র সশস ত র ব হ ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবল জোয়ার, সাগর উত্তাল, ফেরি আটকে গেছে সন্দ্বীপে
উত্তাল সাগর, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে জোয়ারের উচ্চতা। এমনই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলে আটকা পড়েছে ফেরি কপোতাক্ষ। আজ শনিবার সকাল নয়টার দিকে ফেরিটি সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। এ লক্ষ্যে যাত্রী ও যানবাহন তোলা হলেও বেলা একটা পর্যন্ত ফেরিটি ছাড়া সম্ভব হয়নি।
এর আগে সকাল সোয়া সাতটায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ফেরি কপোতাক্ষ। ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় উভয় পাশে অর্ধশতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
ফেরির মাস্টার মো. শামসুল আলম দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সাগর খুবই উত্তাল। জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। ফলে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে ফেরি থেকে নামার রাস্তা ডুবে গেছে। যার কারণে ফেরি নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে পৌঁছালেও যানবাহন কিংবা যাত্রীরা নামতে পারবেন না। তাই সন্দ্বীপের উপকূল থেকে ফেরি ছাড়া হচ্ছে না।
মো. শামসুল আলম বলেন, গতকাল শুক্রবার জোয়ারের সময় সন্দ্বীপ থেকে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। ফেরি থেকে নামার রাস্তা ডুবে যাওয়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা যানবাহন ও যাত্রী নামানো যায়নি।
ঘাটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ঘাটে জোয়ার-ভাটার অবস্থা পর্যবেক্ষণে যান বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা। তাঁরা ফেরি থেকে নামার সড়ক ও র্যাম্প পরিদর্শন করেন। জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সাগর বেশি উত্তাল। এ সময়ে ফেরি চালানো অত্যন্ত ঝুঁকির। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘পরিদর্শনকালে দেখেছি জোয়ারের তীব্রতায় ফেরির পন্টুন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। একটি পন্টুনের দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। বর্ষায় জোয়ার আরও বেড়ে গেলে তখন ঢেউয়ের তোড়ে পন্টুন ভেসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে’।
বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক বাণিজ্য গোপাল চন্দ্র মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকায় তাঁরা দৈনিক দুই ট্রিপ ফেরি চালানোর চেষ্টা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেরি কয় ট্রিপ চালানো যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে কি না, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।