ঝিনাইদহে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে
Published: 22nd, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া তিনজনের পরিচয় মিলেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শশ্মানঘাট এলাকা থেকে ওই তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন:
খুলনায় নদীতে মিললো ৪ বছরের শিশুর মরদেহ
কুষ্টিয়ায় ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
আরো পড়ুন: ঝিনাইদহে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার, দায় স্বীকার করে বার্তা
নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে হানিফ (৫০), তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্বাদ আলীর ছেলে লিটন হোসেন (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম। এদের মধ্যে হানিফ পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম হানিফ। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে দুটি কালো রঙের মোটরসাইকেল, একটি ম্যাগজিন ও গুলি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে শহীদ লাবলু মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর আখতার হোসেন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লাবলু মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি রংপুরের কাউনিয়ার হারাগাছ পৌরসভাধীন মায়াবাজার এলাকায় শহীদ লাবলু মিয়ার পরিবারের খোঁজখবর নিতে যান। এ সময় লাবলু মিয়ার স্ত্রী নুর নাহার, মা লাইলী বেগম, মেয়ে লাইজু খাতুন, লিজা খাতুন ও ছেলে নুর হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যোগ দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন লাবলু মিয়া।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আখতার হোসেন লাবলু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটান এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় শহীদ লাবলুর স্ত্রী নুর নাহার সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা, একটি কর্ম ও সরকারিভাবে পাকা বাড়ি করে দেওয়ার দাবি জানান। আখতার হোসেন তাদের কাছে সবকিছু শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদানসহ পরিবারের সদস্যদের ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক রুবায়েত কবীর, এনসিপি জেলা সংগঠক রেজয়ান আহমেদ, এমআই সুমন আহমেদ, তৌফিক আহমেদ ও এনসিপি কাউনিয়া উপজেলা সংগঠক নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে আখতার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে হারাগাছ পৌরসভা, দেওয়ান বাজার, বকুল তলা, মেনাজ বাজার, মায়াবাজার, হকবাজার, সারাই বাজার, সুমন বাজার, বিজলের ঘুণ্টি, মীরবাগ বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন।