ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি লুট হওয়া মোবাইল ফোন, ১টি ছুড়ি ও নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার তিন আসামি হলো– মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার মুহিত, শরীয়তপুরের জাজিরার সবুজ ও ঢাকার সাভারের শরিফ। তারা সবাই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তিন দিন পর শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলার পর পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

রামগঞ্জে তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুল রহমান বাচ্চুর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মাহফুজ আলমের নিজ গ্রাম রামগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর মোল্লাবাড়িতে এ হামলা হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লা বাধা দেয়। এতে একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর ওপর হামলা করলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।

ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী মঞ্জু আহত বাচ্চু মোল্লার ভাতিজা। এ বিষয়ে মেহেদী মঞ্জু বলেন, ‘রাজনীতি করে কখনও কারও ক্ষতি করিনি। এরপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে রোববার বিকেলে বাড়িতে আসি। খবর পেয়ে বিএনপির লোকজন বাড়িতে হামলা করে। আমি এর আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তখন বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।’

ঘটনাটি জানতে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে তার পরিবারের এক সদস্য কল রিসিভ করেন। তবে তিনি পরিচয় দেননি। তার ভাষ্যমতে, বাচ্চু মোল্লা এখন ভালো আছেন। বাড়িতেই রয়েছেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সমকালকে বলেন, আজিজুল রহমান বাচ্চুর বাড়ির সামনে দুটি পক্ষ ঝামেলায় জড়ায়। তখন তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করে। হাতে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

ওসি বলেন, ‘আমিও আজিজুল রহমান বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছি। তাকে রোববারই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ