গাজীপুরে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আওয়ামী লীগের আরও ২৬ জন গ্রেপ্তার
Published: 22nd, February 2025 GMT
গাজীপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আওয়ামী লীগের আরও ২৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গাজীপুরে এই অভিযানে ৩৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিশেষ এই অভিযানে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
অভিযানটির শুরু থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গাজীপুর মহানগরের ৮ থানার পুলিশ নতুন করে ২৩ জনসহ মোট ২৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশ নতুন ৩ জনসহ মোট ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখা) আলমগীর হোসেন জানান, নতুন করে গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় ৯, বাসন থানায় ৩, কোনাবাড়ী, গাছা ও পুবাইল থানায় ১ জন করে মোট ৩ জন এবং টঙ্গী পূর্ব থানায় ৭ জন গ্রেপ্তার হন। এ ছাড়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মো.
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবুল কাশেম নামের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনার পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গাজীপুরের আহ্বায়ক মো. আবদুল্লাহ মোহিত বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। ওই দিন থেকেই গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালিত হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতবিরোধী কথা বলার অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে
ভারতবিরোধী কথা বলার অভিযোগে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের ভিসা বাতিল করে দেশে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন থেকে তাঁকে দেশে পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তির নাম মো. আজাদুর রহমান। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের পুলিশ কর্মকর্তা আশীষ পি সুব্বা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কেন ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজাদুর রহমানের ছেলে দার্জিলিংয়ের কার্সিয়াংয়ে পড়াশোনা করে। পরীক্ষা শেষে ছেলেকে নিয়ে দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। অভিবাসন চেকপোস্ট এলাকার ট্যাক্সিস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ভাড়া করতে গিয়ে গাড়িচালকের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান তিনি। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে ভারতের পত্রিকা উত্তরবঙ্গ সংবাদ জানিয়েছে, ‘আজাদুর বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি ভারত সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। মুহূর্তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চালকদের কেউই ওই ব্যক্তিকে গাড়িতে নিতে চাননি। এই সময় অনেকে ওই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করা শুরু করেন। আজাদুর হেঁটে চ্যাংড়াবান্ধা ভিআইপি মোড়ে উপস্থিত হলে বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁরা ততক্ষণে ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়ে গিয়েছিলেন।’ তবে আজাদুর ভারত নিয়ে ঠিক কী বলেছিলেন, তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
অভিবাসন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় মেখলিগঞ্জ থানা–পুলিশ আজাদুরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁকে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ আরও জানিয়েছে, আজাদুর উত্তেজিত জনতার সামনে নিজের ভুল স্বীকার করেন। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
চ্যাংড়াবান্ধা আন্তর্জাতিক অভিবাসন দপ্তরের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কলকাতা এফআরআরওর সঙ্গে কথা বলে আজাদুরের ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।