বলিউড অভিনেত্রী পুনম পান্ডে। তিনি যতটা না অভিনেত্রী তার চেয়েও বেশি ‘ভাইরাল গার্ল’। বিতর্ক তার পিছু ছাড়ে না। আবার নিজেও মাঝে মধ্যেই বিতর্ক উসকে দেন। এরপরে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে পুনম পান্ডের নাম। তবে এবার ঘটল অন্য রকম অঘটন। নায়িকার অভিযোগ তিনি নাকি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর, এক ভক্ত সেলফি তুলতে এসে যৌন হয়রানি করেছেন পুনম পান্ডেকে। ওই ঘটনার আংশিক দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটা লাল রঙের গাউন পরে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছেন এই বলিউড তারকা। তিনি যখন পাপারাজ্জিদের জন্য পোজ দিচ্ছিলেন তখন পেছন দিয়ে এক ব্যক্তি সেলফি তোলার আবদার করেন। এরপর  পুনমকে জাপটে ধরেন তিনি। একটা পর্যায়ে তাকে চুমু খাওয়ারও চেষ্টা করেন। আকস্মিক ঘটনায় চমকে ওঠেন পুনম। নিজেকে দ্রুত সরিয়ে নেন।  
 
তবে নেটিজেনরা এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। অনেকের ধারণা পুনম আলোচনায় থাকার জন্য সাজানো ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ‘নাশা’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে পুনমের অভিষেক হয়। এরপর ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতলে নগ্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন এই তারকা।

আরো পড়ুন:

উর্বশীর ৩ মিনিটের মূল্য ৪ কোটি টাকা

সেই প্রেমিককে বিয়ে করলেন নার্গিস ফাখরি?

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

র‌্যাব পরিচয়ে বাসায় ডাকাতি ও পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত র‌্যাব লেখা কালো রঙের দুটি জ্যাকেট, তিনটি কালো রঙের র‌্যাব লেখা ক্যাপ, একটি মাইক্রোবাস, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি লোহার তৈরি ছেনি, একটি পুরাতন লাল রঙের স্লাইরেঞ্জ ও নগদ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ফরহাদ বিন মোশারফ (৩৩), ইয়াছিন হাসান (২২), মোবাশ্বের আহাম্মেদ (২৩), ওয়াকিল মাহমুদ (২৬), আবদুল্লাহ (৩২) ও সুমন (২৯)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  
 
ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা যায়, ৮ নম্বর সড়কে ভিকারুননিসা স্কুলের গলিতে ছয়তলা একটি ভবনের মালিক এম এ হান্নান আজাদ নামে এক ব্যক্তি। ওই ভবনে ‌‘অলংকার নিকেতন জুয়েলার্স’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। বাড়ির নিচতলা, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় এস এম সোর্সিংয়ের অফিস রয়েছে। এ ছাড়া ওই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় একটি কনসালটেন্সি অফিস এবং পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলা নিয়ে তার ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার ভোরে তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারে অভিযুক্ত ডাকাতরা ওই বাসার সামনে গিয়ে গেটে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডদের নিজেদের র‌্যাবের লোক, তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট আছে বলে জানায়। তারা বাড়িতে অভিযান চালাবে এ কথা বলে তাড়াতাড়ি গেট খুলতে বলে। তাদের কয়েকজনের গায়ে র‌্যাব লেখা কটি পরা ছিল। সে সময় দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড তাদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। তখন অভিযুক্ত ডাকাতরা সিকিউরিটি গার্ডদের গালিগালাজ করতে থাকে এবং গেট না খুললে তাদের হত্যার হুমকি দেয়। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন গেটের ওপর দিয়ে উঠে জোর করে গেট খুলে ফেলে। এরপর তারা জোর করে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সিকিউরিটি গার্ড, কেয়ারটেকার ও গাড়ি চালককে দড়ি দিয়ে ভেঁধে ফেলে। তারা নিচতলার অফিসের গেট ভেঙে পিয়নকে মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ডাকাতরা তাকে ভয় দেখিয়ে তৃতীয় তলায় গিয়ে এস এম সোর্সিংয়ের অফিসের গেট ভাঙে। এ সময় গেট ভাঙার শব্দ পেয়ে চতুর্থ তলায় থাকা এস এম সোর্সিংয়ের তিনজন অফিস সহকারী তৃতীয় তলায় নেমে আসেন।

ডাকাতরা তখন তাদেরও আটক করে মারধর করে অফিস ও বাসার চাবি দিতে বলে। তারা জোর করে চাবি নিয়ে তৃতীয় তলার অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে এবং অফিসের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ২২ লাখ টাকা লুট করে নেয় ও অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তাদের আরেকটি দল চতুর্থ তলার অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৩ লাখ টাকা লুট করে। এরপর তারা মালিক এম এ হান্নান আজাদের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের কানের দুল ও চেইনসহ আনুমানিক আড়াই ভরি স্বর্ণ লুট করে। পরে মালিক এম এ হান্নানকে জোর করে নিচে নিয়ে গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করে। তখন ধানমন্ডি থানার একটি টহল টিম ওই বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাতদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের হাতে থাকা ছেনি ও রেঞ্জ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। তখন আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও মালিকের ভাগ্নে তৌহিদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃতসহ পলাতক আটজন এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে ডিএমপির ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করা হয়।

মামলা পর তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরে হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আবদুল্লাহ ও সুমন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা ও ডাকাত দলের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আশ্রয় নিয়ে খেয়ে দেয়ে ৪ শিশুসহ চম্পট, পরে ওই নারীকে আটক
  • অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে শিডিউল মেসেজ পাঠাবেন যেভাবে
  • লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
  • উয়েফা, ফিফা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে দিলেন কুন্দে
  • হামজার চোট ও চেইন রিঅ্যাকশন
  • নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
  • ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটাঙ্গন
  • রংপুর মেডিকেলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস’ চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিবৃতি
  • ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
  • র‌্যাব পরিচয়ে বাসায় ডাকাতি ও পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৬